বড়াইগ্রামের খলিশাডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমানকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে ও দায়ীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার দুপুরে নাটোর-পাবনা মহাসড়কের ধানাইদহ বাজারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনকালে কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য মোক্তাদির আহমেদ রাসেল, মাহফুজুর রহমান মিল্টন ও আশরাফ আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, সমাজসেবক আব্দুল মালেক, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও প্রভাষক মাহবুবুর রহমান সুজন বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, গত ২৮ এপ্রিল কলেজের ১২ সদস্যবিশিষ্ট গভর্নিং বডির অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু গত সোমবার নগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আসাব সরকারের নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপির একাংশের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী কলেজে ঢুকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে লাঞ্চিত করে। এ সময় তাকে কক্ষের ভেতরে অবরুদ্ধ করে পরিচালনা কমিটি বাতিলের জন্য নিজেরাই আবেদন লিখে তাতে জোরপূর্বক সই নেয়। আমরা এ ধরণের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করছি ও জড়িতদের শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে বিএনপির কিছু লোকজন কলেজে এসে জোরপূর্বক কমিটি বাতিলের জন্য কাগজে সাক্ষর নেয়াসহ নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তাদের এ ধরণের কর্মকান্ডে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বলেন, বিএনপি নামধারী অল্প কয়েকজন ব্যক্তি গত ৫ আগষ্টের পর থেকে নগর ইউনিয়নে বিতর্কিত কর্মকান্ড করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। তাদের এ ধরণের অপকর্ম আমরা সমর্থন করি না। এসব সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানাচ্ছি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আসাব সরকার বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অবৈধ কমিটি গঠন করে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা করছে। আমরা এ কমিটি মানি না। এ কমিটি দিয়ে কলেজে নিয়োগও দিতে দিবো না। তাই কমিটি বাতিল ও নিয়োগ বন্ধ রাখার কথা বলেছি। তবে জোর করে সই নেইনি, কলেজে গেলে অধ্যক্ষ স্বেচ্ছায় সই করে দিয়েছেন।
ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএইচ/এসআর