সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচই ছিল লো-স্কোরিং। রান পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে ব্যাটারদের। তবে আজ দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার দেশের দ্বিতীয় সেরা উদ্বোধনী জুটির পরও ৮ উইকেটে ২৯৬ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ সিরিজ জিততে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হবে ২৯৭ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৯১ রান করেছেন সৌম্য। এ ছাড়া ৮০ রান এসেছে সাইফের ব্যাট থেকে।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পুরো ৫০ ওভার স্পিন বোলিং করিয়ে রেকর্ড গড়েছিল সফরকারীরা। আজও স্পিন দিয়েই আক্রমণে যায় তারা। কিন্তু আকিল হোসেনের প্রথম ওভারেই দুই চার মেরে ভালো শুরুর বার্তা দেন সাইফ। এরপর আগ্রাসী রূপে হাজির হন সৌম্য সরকারও।
উদ্বোধনী জুটিতে পঞ্চাশ আসে মাত্র ৪৬ বলে। স্পিনে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না দেখে দশম ওভারে পেস বোলিং অলরাউন্ডার জাস্টিন গ্রিভসের হাতে বল তুলে দেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক শাই হোপ। তবে এই পেসারও সুবিধা করতে পারেননি।
দারুণ ব্যাটিংয়ে ৪৮ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক স্পর্শ করেন সৌম্য। ওয়ানডেতে এটি তার ১৪তম ফিফটি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ষষ্ঠ। সৌম্যের পর একই মাইলফলক ছোঁয় আরেক ওপেনার সাইফও—মাত্র ৪৪ বল খেলে। ওয়ানডেতে এটি তার প্রথম ফিফটি।
ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দুই ওপেনারই ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। বেশ প্রাণবন্তও মনে হচ্ছিল তাদের। কিন্তু ইনিংসের ২৬তম ওভারে প্রথম হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে রোস্টন চেজকে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অনে জাস্টিন গ্রিভসের হাতে ধরা পড়েন সাইফ হাসান। ১৭৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৭২ বলে ৬ ছক্কায় ৮০ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার।
সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে ছিলেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। তিনিও শেষমেশ ক্যাচ আউট হয়ে ফিরেছেন। ৮৬ বলে ৯১ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর রানের গতি অনেকটাই কমে যায়। তাওহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত বেশ কিছু ডট বল খেলেন। তাতে উল্টো চাপে পড়ে বাংলাদেশ। চাপ কমাতে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন হৃদয়। ৪৪ বলে ২৮ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। এরপর শান্ত ফিরেছেন ফিফটির আগে—৫৫ বলে করেছেন ৪৪ রান।
মিডল অর্ডারে ব্যর্থ মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, রিশাদ হোসেন ও নাসুম আহমেদ। আগের দুই ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা রিশাদকে প্রমোশন দিয়ে নামানো হয় ছয়ে। তবে এবার ৬ বলে করেছেন মাত্র ৩ রান।
শেষদিকে ভালো ফিনিশিং দিয়েছেন নুরুল হাসান। ৮ বলে অপরাজিত ১৬ রান করেছেন তিনি। এ ছাড়া মিরাজ করেছেন ১৭ বলে ১৭ রান।
আরএন