প্রথম ওয়ানডের মতো দ্বিতীয় ওয়ানডেও শুরুতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে দেখা গেলো চ্যালেঞ্জ। টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে না পারায় দুই-তিন ব্যাটারের ছোট ছোট রানই পুরো ইনিংসের অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছিল। শুরুতেই দুইশ’ রানের আগেই অলআউটের শঙ্কা দেখা দেয়। তবে রিশাদ হোসেনের ক্যামিও ইনিংসই দলের জন্য ত্রাণের কাজ করে, যা প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ২০৭ রানের রেকর্ড এনে দিয়েছিল।
মঙ্গলবার মিরপুর স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নামা ব্যাটাররা শুরুর ধাক্কা সামলাতে পারেনি। চার ব্যাটার একে একে সাজঘরে ফিরে যান। তারা হলেন—সাইফ হাসান (৬), তাওহীদ হৃদয় (১২), নাজমুল শান্ত (১৫) এবং মাহিদুল অঙ্কন (১৭)। ২৮ ওভারের মধ্যে ৯৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ বিপদজনক অবস্থায় পড়ে।
দলকে তখনও ভরসা দিচ্ছিলেন ওপেনার সৌম্য সরকার। কিন্তু তিনিও ফিফটি মিস করে সাজঘরে ফিরে যান। তিনি ৮৯ বলে ৪৫ রান করেন। তিন চার ও একটি ছক্কা মারেন। বাংলাদেশ ১০৩ রানে পঞ্চম ও ১২৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায়। সেখান থেকে দুইশ’ ছাড়ানো পুঁজি এনে দেন মিরাজ-নুরুল হাসান ও রিশাদ।
এর মধ্যে আটে ব্যাটিংয়ে নেমে সোহান ২৪ বলে ২৩ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন। দুটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। নাসুম তার আগে ২৬ বলে ১৪ রান করে ফিরে যান। মিরাজ ৫৮ বলে ৩২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। ম্যাচের সেরা ক্যামিও দেখানো রিশাদ ১৪ বলে ৩৯ রান করেন। তিনটি করে চার ও ছক্কা মারেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে রাতেই উড়ে এসে বল হাতে জুড়ে বসেন আকিল হোসেন। তিনি ওপেনিংয়ে বল হাতে নেন। ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। আলিস আথানজে ওপেনার। পার্ট টাইম স্পিন করেন। তিনিই ১০ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। ৫০ বল ডট দিয়ে মাত্র ১৪ রান ২ উইকেট নিয়েছেন। ওই হিসেবে নিয়মিত স্পিনার গুড়াকেশ মোতি ও খেরি পেরি খারাপ বোলিং করেছেন। মোতি ৩ উইকেট পেলেও ১০ ওভারে ৬৩ রান খেয়েছেন। পেরি ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন।
এসআর