জামালপুরে আতিকুর রহমান আতিক (১৮) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যার ঘটনায় একই মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে শিশু আদালত।
বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে ঘটনার ১৯ বছর পর জামালপুর শিশু আদালত-১ এর বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম রায় ঘোষণা করেন।
শিশু আদালত-১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফজলুল হক বলেন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বানিয়ানীরচর পশ্চিমপাড়া এলাকার স্থানীয় আফতাবীয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শেষ বর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল উপজেলার চিকাজানী এলাকার আহমদ আলীর ছেলে আতিকুর রহমান আতিক। পূর্বের কথা কাটাকাটির জেরে ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট সকালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ সর্দারপাড়া গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সাদ্দাম মিয়া (১৬) এবং ইসলামপুর উপজেলার হরিণধরা গ্রামের নাছির আলীর ছেলে রিপন (১৬) সহায়তায় একই মাদ্রাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় আতিকুর রহমান আতিকের পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় আতিকুর রহমান আতিককে উদ্ধার করে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে, হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
ওই দিনই নিহতের বড় ভাই বাবু মিয়া (২২) ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাদ্দাম মিয়া ও রিপনকে আসামী করে দেওয়ানগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০০৬ সালের ১৪ অক্টোবর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর আসামীদের উপস্থিতিতে বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়।
ঘটনার সময় আসামীরা শিশু হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে হয়েছে, তবে বর্তমানে তাদের বয়স ৩৫ বছর। রায়ে উভয় আসামীর প্রতি ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুল হক এবং আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোঃ আনোয়ার হোসাইন।
এলএইচ/আরএন