একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কাকতালীয় নয়; বিষয়টি জাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে। এসব অগ্নিকাণ্ডের পেছনে পরিকল্পিত নাশকতার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। দেশের মানুষ প্রশ্ন তুলছে—এই ঘটনার পেছনে কারা, কেনই বা হঠাৎ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের এমন পুনরাবৃত্তি ঘটছে?
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহীর আড়ানী সরকারি মনোমোহনী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম এসব কথা বলেন।
আব্দুস সালাম বলেন, দেশের মানুষ যখন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, তখন ইচ্ছাকৃতভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলোর মাধ্যমে জনগণের মধ্যে ভয় ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা নির্বাচন বানচালের গভীর ষড়যন্ত্র।
নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত “রাষ্ট্র মেরামত কাঠামো ৩১ দফা” বাস্তবায়ন এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আয়োজিত আড়ানী পৌর বিএনপির এই জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের আমল থেকে বাঘা-চারঘাট আসনে মকছেদ ভাই, অখাদ্য ডাক্তার আলাউদ্দিন, কবীর ভাই, আজিজুল ভাইসহ বিএনপির কোনো প্রার্থী পরাজিত হননি। কিন্তু গত ১৭ বছরে জনগণের ভোটে নয়, বরং স্কুলের শিক্ষক, প্রফেসর, পুলিশ, টিএনও ও ডিসির ভোটে আওয়ামী লীগকে জয়ী করা হয়েছে।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন আড়ানী পৌর বিএনপির সভাপতি তোজাম্মেল হক।
সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ বিল্টু ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি মহিদুল ইসলাম জুয়েলের সার্বিক সহযোগিতায় জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত খালেক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্সাল, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী এশা, জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক আলহাজ মো. হাকিম সরকার প্রমুখ।
এএইচ/আরএন