চার দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন সাংবাদিক মাসুমা ইসলাম (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার ভোরে নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তিনি ‘এখন টেলিভিশন’র রাজশাহী ব্যুরো প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন।
নিহত সাংবাদিক মাসুমা ইসলাম (৩০) নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের নারায়ণপুর মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুর জব্বারের মেয়ে। তিনি ১২ বছর বয়সী এক ছেলের জননী। জীবদ্দশায় সাংবাদিক মাসুমা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় রাজশাহীর দায়িত্বে ছিলেন। গত বছর তিনি বেসরকারি টেলিভিশন ‘এখন’-এর রাজশাহী ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব নেন।
জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে গত ১৪ ফেব্রুয়ারী কুমিল্লায় ননদের বাড়িতে যাচ্ছিলেন মাসুমা। পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমল্লিার নূরজাহান হোটেলের সামনে দুর্ঘটনার শিকার হন। সেখানে দাঁড়িয়ে সিএনজিচালকের সাথে কথা বলার সময় যাত্রীবাহী একটি দ্রুতগামী মাইক্রোবাস তাদের চাপা দেয়। এতে সাংবাদিক মাসুমা ইসলাম, তার স্বামী ও সিএনজিচালক গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাসুমা ও তার স্বামীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢামেকে অবস্থার অবনতি হলে নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সঙ্গাহীন অবস্থায় চার দিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন এই সাংবাদিক। মৃত্যুর কাছে হার মেনে মঙ্গলবার না ফেরার দেশে চলে গেলেন সাংবাদিক মাসুমা। তার স্বামী সৈকত ইসলাম বর্তমানে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক মাসুমার মরদেহ প্রথমে রাজধানীর বাবর রোডের মারকাজুল ইসলামে নেওয়া হবে। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে নাটোরের গুরুদাসপুরে দ্বিতীয় জানাজা শেষে নারয়াণপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। তবে দ্বিতীয় জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয়নি।
সাংবাদিক মাসুমার বাবা আব্দুল জানান, দুই সন্তানের মধ্যে মাসুমা দ্বিতীয়। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে তারা নির্বিকার। মাসুমার সন্তানও মাকে হারিয়ে দিশেহারা।
এমএ