প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৯জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাঙামাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আহসান তারেক এ আদেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য সবির কুমার কুমার, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ ও বিরল বড়ুয়া, সহকারী প্রকৌশলী জ্যোতির্ময় চাকমা, উপসহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা, ভূষণছড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মানুনুর রশীদ, ঠিকাদার চিং হেন রাখাইন, মিলন তালুকদার ও অমলেন্দু চাকমা।
দুর্নীতি দমন কমিশন রাাঙমাটি সমন্বিত কার্যালয়ের তদন্তের পর আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়। চার্জশীট গ্রহণ করে আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানানজারি করে আদালত।
মামলার এজাহার সূত্র জানা গেছে, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ অর্থবছরসহ বিগত সময়ে রাঙামাটির বরকল উপজেলায় জেলা পরিষদ থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু বরাদ্দ অনুযায়ী উন্নয়ন কাজ দৃশ্যমান হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৮ জুন পৃথক চারটি মামলা দায়ের করেন দুদক রাঙামাটি সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আহমেদ ফরহাদ হোসেন। মামলা দায়েরের দুই বছর পর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলো।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জুয়েল দেওয়ান বলেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলীসহ অন্যান্য প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা চারটি মামলায় চার্জশিট বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করা হয়। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নিয়েছেন এবং চার মামলার প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আইকেআই/ এসআর