নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় অবস্থিত সরকারি মেঘনা তেল ডিপোতে জ্বালানী তেল সরবরাহে লিটারে কম দেয়া ও শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরন সহ নানাবিধ অভিযোগে চালক ও শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে কর্ম বিরতি পালন করেছে।
এতে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তেল উত্তোলন ও পরিবহন কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল ৯ টার দিকে ডিপোর প্রধান ফটকের সামনে শতাধিক চালক ও শ্রমিক অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সহকারী কমিশনার (ভূমী) ফতুল্লা সার্কেল মোঃ আসাদুজ্জামান নুর ও ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আনোয়ার হোসেন। পরে দুপুরে মেঘনা তেল ডিপোর কতৃপক্ষ, মেঘনা ডিপো চালক শ্রমিক ইউনিয়ন ফতুল্লা শাখার নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রি পাক্ষিক আলোচনা করে সমোঝতা হয়। পরে ডিপোর কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, মেঘনা ডিপোতে সদ্য যোগদান করা ডিএস মোঃ জালাল উদ্দিন শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরণ সহ জ্বালানী তেল সরবরাহে লিটারে কম দিচ্ছে। পাশাপাশি চালকেরা অভিযোগ করেন, তেল লোড ও আনলোড করার সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় তারা প্রায়ই দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে কাজ করেন।
চালক-শ্রমিকদের আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে মেঘনা তেল ডিপোর ডি,এস মোঃ জালাল উদ্দিন জানায়, তিনি কারো সাথে খারাপ আচরণ করেন নি। সকলের সাথে তার সু-সম্পর্ক রয়েছে। জ্বালানী তেল কম দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ কাজটি করতে দেওয়া হচ্ছে না। বরং চালক-শ্রমিকরা কিছু ইনভয়েজ করা লিটারের চাইতে কিছু তেল ট্যাংকে রেখে যাওয়ার আপত্তি করে বা রেখে যেতে চায়। পরে জ্বালানী তেল পেট্রোল পাম্পে দিয়ে এসে ট্যাংকে রেখে যাওয়া জ্বালানী তেল নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে পোষণ করে। তিনি এর প্রতিবাদ সহ এ কাজ বন্ধ করে দেয়। আর এ কারণে ইকবাল চৌধুরী এ রকম আবদার করলে তিনি তা প্রত্যাখান করেন। আর তাতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে চালক -শ্রমিকদের ভুল বুজিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে ফেলেন।
অন্যদিকে, মেঘনা ডিপোর চালক-শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি বাচ্চু মিয়া জানান, আলোচনার মাধ্যমে বিষয়গুলো সমাধান করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমী) ফতুল্লা সার্কেল মোঃ আসাদুজ্জামান নুর জানান, সংবাদ পেয়ে তিনি জেলা প্রশাসনের হয়ে এখানে এসেছেন। উভয় পক্ষের সাথে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে।
এসএস/এসআর