নিষেধাজ্ঞা না মেনে লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ ধরায় পাঁচ জেলেকে আটক করা হয়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় দু'জনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত চলা অভিযানে মেঘনা নদীর কামাল নেতার খাল ও রামগতি মাছঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে মৎস্য অধিদপ্তর।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের বাসিন্দা ছিরু মাঝির ছেলে মো. আবুল কালাম (৩৬), মোহাম্মদ আবুল কাশেম (২৮) ও একই ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. নুর আলম (১৯)।
বড়খেরী নৌ পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সফিকুল ইসলাম বলেন, 'আটককৃতদের মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দেওয়া হয়। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় দু'জনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় চার হাজার মিটার জালসহ মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়।'
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সৌরভ উজ-জামান বলেন, 'রাতভর অভিযান চালিয়ে একটি নৌকা ও জালসহ পাঁচ জেলেকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে নৌ-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আমরা নদীতে সার্বক্ষণিক টহল জোরদার করেছি ও অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছি। মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের এই বিশেষ অভিযান চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এ সময় কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
০৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এ ২২ দিন লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ডিমওয়ালা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে সরকার এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ সময় ইলিশ ধরা, ক্রয়-বিক্রয়, সংরক্ষণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুত নিষিদ্ধ। এ আইন অমান্য করলে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
এমএ