BREAKING: |
আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইনিংস থেমে গেল ২২১ রানে। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। যদিও উইকেট ছিল হালকা সবুজ এবং বোলারদের জন্য সহায়ক, তবু অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাটিংকেই বেছে নেন।
শুরুর দিকে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে টানা তিন বলে ক্যাচ তোলেন অভিষিক্ত সাইফ হাসান এবং তানজিদ হাসান তামিম। প্রথম দুটি সুযোগ হাতছাড়া হলেও তৃতীয়টি কাজে লাগান রহমানুল্লাহ গুরবাজ। তানজিদ ১০ বলে ১০ রান করে ফিরে যান।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত নামেন কিন্তু তিনিও ব্যর্থ। মাত্র ৫ বল খেলে ২ রান করে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন শহিদির হাতে। দলীয় রান তখন ২৫।
তৃতীয় উইকেটে সাইফ হাসান ও তাওহিদ হৃদয় ২৮ রানের জুটি গড়েন। তবে সাইফও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২৬ রান করে নানগেলিয়া খারোতের বলে রশিদ খানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। স্কোর তখন ৫৩/৩।
এরপর দলের হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয় ও মেহেদী হাসান মিরাজ। মিডল অর্ডারে এই দু’জন গড়েন ১০১ রানের চমৎকার একটি জুটি। হাফ সেঞ্চুরি করেন উভয় ব্যাটারই। হৃদয় করেন ৮৫ বলে ৫৬ রান। তবে, রান নেওয়ার সময় ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়ে ফেরেন তিনি। তখন দলের রান ১৫৪।
মিরাজ এরপর কিছুটা লড়াই চালিয়ে যান। নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন, তবে ৮৭ বলে ৬০ রান করে তিনিও ফিরে যান। এরপর আর কেউই ইনিংস টানতে পারেননি।
নুরুল হাসান করেন ৭ রান, জাকের আলি অনিক ১০। তানজিম হাসান সাকিব ইনিংসের শেষ দিকে ১৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন, নাহলে ২০০ রানও স্পর্শ করা কঠিন হতো। তানভির ইসলাম করেন ১১, হাসান মাহমুদ ৫ এবং তাসকিন আহমেদ অপরাজিত থাকেন ৪ রানে।
আফগানিস্তানের পক্ষে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রশিদ খান নেন ৩টি করে উইকেট। এএম গজনফর পান ২টি এবং নানগেলিয়া খারোত ১টি উইকেট নেন।
অসাধারণ একটি জুটি গড়েও ২২১ রানে অলআউট হওয়াটা হতাশাজনকই বাংলাদেশের জন্য।
আরএন