রোববার দুপুরে ২ নং গেট জোবরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মাঝে অবস্থানকালে স্থানীয়দের ধাওয়ায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন অসুস্থ হয়ে যান বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।
পরে নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় গাড়িতে করে তাকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। সম্প্রতি অধ্যাপক কামালের বাম হাতে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তিনিসহ প্রশাসনের অন্যরা ঘটনা সমাধানের চেষ্টা করছিলেন।
এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ ইটের আঘাতে আহত হন। পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে চবি মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য যান তিনি। পাশাপাশি খবরের কাগজের প্রতিনিধি আরাফকে সাংবাদিক পরিচয় জানানোর পরও আঘাত করা হয়।
চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী মো. লিখন রাজ বলেন, শনিবার রাতে আমাদের ওপর হামলা করা হয়। আর আজকে বেলা ১২টার দিকে সমঝোতা করতে গেলে ওরা আবার আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে অনেকে আহত হয়েছে।
শনিবার মধ্য রাতে সংঘর্ষের ঘটনার জেরে রোববার সকাল থেকে প্রধান ফটক বন্ধ করে জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় হামলায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন তারা। একপর্যায়ে ক্যাম্পাসের পাশে রাতের সংঘর্ষ ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় লোকজনও লাঠিসোটা নিয়ে এগিয়ে আসে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
শনিবার রাতে দেরিতে বাড়িতে ফেরায় এক ছাত্রীকে বাসার দারোয়ান কর্তৃক মারধরকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনার সূত্রপাত। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় দোকান ও বাড়ির জানালাসহ ভাঙচুরযোগ্য শতাধিক স্থাপনা ভাঙচুরের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এদিকে রাতের ঘটনার বিচার দাবি করে রোববার সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাখা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা।
সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছেন। পরীক্ষা স্থগিত থাকলেও ক্লাস ও শাটল ট্রেন নিয়মিত সূচি অনুযায়ী চলবে।
শনিবার রাতে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে (চমেক) পাঠানো হয়। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ ঘটনা ঘটে।
এমএ