পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ও সুইসাইড নোট লিখে জিতু রায় (২৭) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন। তিনি উপজেলার ব্রহ্মোত্তর সুন্দরদিঘী এলাকার তারিনি রায়ের ছেলে এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।
রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে তার বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আত্মহত্যার আগে জিতু ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন এবং একটি হাতে লেখা চিঠিতে জানান, প্রেমিকার সঙ্গে দীর্ঘ পাঁচ বছরের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণে তিনি চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রেমিকা অন্য কাউকে বিয়ে করেছেন, এমনও অভিযোগ করেন তিনি।
নিহতের কাকা হীরেন রায় জানান, শনিবার (১৬ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে তারা জিতুকে খুঁজতে শুরু করেন। ঘরে তাকে না পেয়ে একপর্যায়ে বাড়ির বাইরে একটি আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান। সেখান থেকে নামিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে (বাহাদুর বাজার এলাকায়) তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পুলিশ নিহত জিতুর হাতে লেখা ৩ পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আত্মহত্যার আগে জিতু সুইসাইড নোট রেখে গেছেন। আমরা তার লাশ পোস্টমর্টেম শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করব। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এইচআর/আরএন