পাল্লেকেল্লেতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মাঝের ওভারে চারিথ আসালঙ্কা ও কুশল মেন্ডিসের অভিজ্ঞ জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় শ্রীলঙ্কা। তবে মেন্ডিসের সেঞ্চুরির পর ফেরায় ফের ম্যাচে ফিরে আসে টাইগাররা। শেষদিকে দারুণ বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৩০০ ছুঁতে দেয়নি সফরকারীরা।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান করে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের পক্ষে নতুন বলে দারুণ বোলিং শুরু করেন দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব। চতুর্থ ওভারে সাকিবের বাড়তি বাউন্সে কুশল মাদুশকা স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিলে মাত্র ১ রানেই ফেরেন ওপেনার।
তবে তিনে নামা কুশল মেন্ডিস শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। অন্যপ্রান্তে পাথুম নিশাঙ্কাও ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরেন। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৫১ রান তোলে লঙ্কানরা।
নিশাঙ্কাকে থামান বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। ১৫তম ওভারে ৩৫ রান করে পারভেজ ইমনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর কামিন্দু মেন্ডিসকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তাকে, ২০ বলে ১৬ রান করেন কামিন্দু।
১০০ রানে ৩ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কাকে টেনে তোলেন আসালঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। তাদের ১২৪ রানের জুটি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ফিফটি তুলে নেওয়ার পর ৫৮ রানে তাসকিনের বলে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আসালঙ্কা।
তবে কুশল মেন্ডিস নিজের ইনিংস বড় করেন। ৯৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরও খেলার ধরনে পরিবর্তন আনেননি। ১১৪ বলে ১২৪ রান করে শামীম হোসেনের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে আউট হন এই ব্যাটার।
পরবর্তীতে জানিথ লিয়ানাগে, দুনিথ ভেল্লালেগে দ্রুত ফিরে গেলে রানের গতি কমে যায়। তবে শেষদিকে ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দুশমন্থা চামিরার ব্যাটে লঙ্কানরা সংগ্রহ ২৮০ পেরোয়।
শেষের ওভারে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে বাংলাদেশ ম্যাচের লাগাম আবার টেনে ধরতে সক্ষম হয়। ৩০০ রানের আগেই লঙ্কানদের থামিয়ে দেয় টাইগার বোলাররা, যা রান তাড়ার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মতোই পর্যাপ্ত।