চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামিদের দেশত্যাগে বাধা দিতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম ফারুক।
তিনি বলেন, “সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর তাঁর মামা আলমগীর হোসেন ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছেন সালমানের সাবেক স্ত্রী সামিরা হকও। আসামিদের কয়েকজন বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। যারা দেশে আছেন, তারা যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন, সে বিষয়ে সিপোর্ট, ল্যান্ডপোর্ট ও এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।”
ওসি গোলাম ফারুক বলেন, আদালতের নির্দেশে সালমান শাহ হত্যা মামলা নেওয়া হয়েছে। এতে ১১জনকে এজাহারভুক্ত আসামি এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। গুরুত্ব সহকারে মামলার তদন্ত চলছে। তবে এখনও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
রমনা থানার ওসি আরও বলেন, মামলার তদন্তে কোনো ধরনের চাপ নেই। শিগগির আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। গত ২১ অক্টোবর মধ্যরাতে রাজধানীর রমনা থানায় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়।
এজাহারে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সালমান শাহর স্ত্রী সামিরা হককে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, লতিফা হক লুসি, চলচ্চিত্রের খলনায়ক ডনসহ আরও কয়েকজনের নাম রয়েছে। মোট ১১ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে, পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকেও আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সালমান শাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর শুরু হয় দীর্ঘ তদন্তযাত্রা, যা প্রায় তিন দশক ধরে অপমৃত্যু মামলা হিসেবেই চলতে থাকে। পরবর্তীসময় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন বলে মত দেয়। তবে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী শুরু থেকেই ওই প্রতিবেদন মানতে অস্বীকৃতি জানান এবং দাবি করে আসেন, তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
এসআর