পাবনার চাটমোহর উপজেলার পার্শ্ববর্তী ফরিদপুরে গত বছরের ঈদগাহ মাঠে নামাজের সময় সংঘর্ষের জের ধরে এবার আবারও উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এই ঘটনায় আহত রমজান মুন্সির ছেলে গাজ্জালী মুন্সীকে (৫০) সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেবার পথে মারা যান।
বৃহস্পতিবার সকাল এবং শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে মধ্যপুঙ্গলী গ্রামের কুদরত গ্রুপ ও মোকলেস গ্রুপের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর ‘মধ্যপুঙ্গলী ঈদগাহ’ মাঠে নামাজের সময় সামনের সারিতে চেয়ার নিয়ে বসাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। সেই সময় উভয় পক্ষ আহত হয় এবং মামলাও দায়ের করা হয়। পুরনো এই বিরোধের জের ধরে এবার আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার লাঠিসোটা নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে দু’পক্ষের ২০ জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন: কামাল হোসেন, ভুলু হোসেন, গিয়াস উদ্দিন, রমজান আলী, রবি প্রাং, শফিকুল, শওকত হোসেন, গাজ্জালী মুন্সী, হালিম, গাজি প্রাং, নাহিদ, আব্দুল হাকিম, সুরুজ প্রাং, রমজান আলী, রবি, সাইফুল, পন্না, নওসের, আব্দুল মান্নান ও মোকলেস। আহতদের মধ্যে ১১ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শওকত হোসেন, গাজ্জালী মুন্সী ও রমজান আলীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার গাজ্জালী মুন্সী মারা যান।
ফরিদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাকিউল আযম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনার পর উভয় পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলায় উভয় পক্ষের কুদরত ও খুদা ও ধলা নামের দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নিহত গাজ্জালী মুন্সির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরআর/আরএন