নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় রান্নার সময় লাকড়ির বিস্ফোরণে মদিনা খাতুন (২) নামের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের পিপলা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মদিনা ওই গ্রামের আব্দুস সামাদের কন্যা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে মদিনার মা রান্না করছিলেন। শিশুটি মায়ের সঙ্গে রান্নাঘরের পাশে বসে ছিল। হঠাৎ করে চুলার ভেতরে বিকট শব্দে একটি লাকড়ি বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণে জ্বলন্ত একটি অংশ ছুটে এসে মদিনার বুকে আঘাত করে। এতে সে মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়।
পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে পথেই তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শরিফুল ইসলাম বলেন, “শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার বুকের বাম পাশে পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণের আঘাতে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।”
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শিশুটির মৃত্যুতে পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যে চলছে আহাজারি।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। পরিবারটির পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।”
স্থানীয়রা জানান, গ্রামীণ এলাকায় এখনও অনেক পরিবার কাঠ ও লাকড়ি ব্যবহার করে রান্নাবান্না করেন। অনেক সময় ভেজা বা নিম্নমানের কাঠ চুলায় ব্যবহারের কারণে এর ভেতরে জমে থাকা বাষ্প বা বায়ু বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে চুলা ব্যবহারে বাড়তি সতর্কতা ও সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমএ/এসআর