Monday | 27 October 2025 | Reg No- 06
Epaper | English
   
English | Monday | 27 October 2025 | Epaper
BREAKING: মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি      মতিঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু      ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১,১৪৩ জন      মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবার পাবে ৫ লাখ, থাকবে চাকরির সুযোগ      উত্তরা-আগারগাঁও মেট্রো চলাচল শুরু      একজনের সাতটির বেশি সিম নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা      মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যু, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ      

জরাজীর্ণ ও বেহাল দশায় মাদারীপুরে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরগুলো

Published : Wednesday, 28 May, 2025 at 10:08 PM  Count : 168

মাদারীপুর সদর উপজেলা সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো এখন পলিথিন ও পাটখড়ির আদলে আবদ্ধ। ইট-বালু খুঁটির ওপর লোহার সঙ্গে থাকা টিন মরিচা ধরে খসে পড়ায় ঘর থেকেই আকাশ দেখা যায়। কোনোমতে পাটখড়ি ও পলিথিনের জোড়াতালি দিয়ে থাকছেন বসবাসকারীর। ব্যারাকগুলো দ্রুত মেরামত করার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের লোকজনেরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

আর সদর উপজেলা প্রশাসন বলছে, অর্থ পেলে সংস্কার করা হবে জরাজীর্ণ ঘরগুলো। আপাতত তেমন কিছুই করার নেই বলে দাবী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাবের। আর অসহায় পরিবারগুলোর দাবী, এ বর্ষার আগেই অন্তত ঘরের টিনগুলো পরিবর্তন করার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মনি ফকির। জায়গা-জমি না থাকায় গেলো ২০০৭ সাথে মাথা গোঁজার ঠাঁই মেলে সরকারী ঘরে। সদর উপজেলার কুনিয়াইউনিয়নের চরদক্ষিণপাড়া এলাকায় রাস্তার পাশে নির্মিত সরকারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরেই কেটেছে তার পরিবারের ১৮টি বছর। তবে বর্তমানে আশ্রয়নের ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পাকা মেঝে ভেঙে গেছে। টিনের চালা মরিচা ধরে ছিদ্র হয়ে গেছে। লোহার অন্য সরঞ্জামেও মরিচা ধরেছে। একটু বৃষ্টি হলেই ফুটো চাল চুইয়ে পানি পড়ে। তাই বৃষ্টির দিনে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় মনি ফকিরের পরিবারকে।

অন্যঘরে ৭০ উর্ধ্ব ফুলমতির ঘরের একই অবস্থা। রাতের বৃষ্টিতে ঘরের মেঝেতে পুরো কাদাঁ হয়ে গেছে। তাই রোদ উঠায় ঘরের টুকিটাকি জিনিসপত্র বাহিরে শুকাতে দিয়েছে। এমন কোন ঘর নেই যে, বৃষ্টি হলে ঘরে পানি না পড়ে। তাই কেউ কেউ ঘরের চালার সাথে পলিথিন দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও করেছে। ফুলমতির ঘরের মতো প্রায় সবারই একই অবস্থা। 

আশ্রয়ন প্রকল্পে আশ্রয় নেয়া লোকজন জানান, শুধু মনি ফকির আর ফুলমতির ঘরই নয়, এই প্রকল্পের জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করছে ৯০টি পরিবার। সংস্কারের অভাবে এ ঘরগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নানা সমস্যায় জর্জরিত হলেও এসব ঘর মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে আতঙ্কে দিন কাটছে বসবাসকারী পরিবারগুলোর। তাদের দাবী, ভাঙাচোরা ঘরের চালায় পলিথিন দিয়ে ফুটো বন্ধ করে কোনো রকম বসবাস করে আসছেন। অন্যত্র সরে যাওয়ার কোনো সুযোগ না থাকায় বাধ্য হয়েই পরিত্যক্ত ভাঙাচোরা ও অস্বাস্থ্যকর এ ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে বসবাস করছে এসব পরিবার। 

তবে শীঘ্রই কোন সুসংবাদ দিতে পারেনি সদর উপজেলা প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অর্থের বরাদ্দ পেলেই সংস্কার করা হবে আশ্রয়নের ঘরগুলো, এমনটারই আশ্বাস দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব। তিনি বলেন, ‘আমি কুনিয়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো পরিদর্শণ করে এসেছি। আপাতত এসব ঘরের জন্যে কোন বরাদ্দ নেই। উপরে মহলে চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা রাখি কিছু দিনের মধ্যেই টাকা বরাদ্দ পেলে ঘরগুলো মেরামত করা যাবে। যদি দু-চারটা ঘরের টিন নষ্ট হতো, তাহলে আমিই ব্যবস্থা করতে পারতাম। কিন্তু ওখানের প্রায় সব ঘরেরই একই অবস্থা। তাই কিছুটা সময় লাগবে।’

আশ্রয়ণ প্রকল্পে কবরস্থান, খেলার মাঠ, সমবায় সমিতির কার্যালয়সহ ৯টি টিনের ব্যারাক রয়েছে। প্রতিটি ব্যারাকে রয়েছে ১০টি করে কক্ষ। আবাসিক জমিসহ প্রতিটি ভূমিহীন ৯০টি পরিবারকে একটি করে কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়। যেখানে ১২টি শৌচাগার ও চারটি গোসলখানা করা হয়েছিল।

এসআর
সম্পর্কিত   বিষয়:  মাদারীপুর  


LATEST NEWS
MOST READ
Also read
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000.
Phone: PABX- 41053001-06; Online: 41053014; Advertisement: 41053012.
E-mail: [email protected], news©dailyobserverbd.com, advertisement©dailyobserverbd.com, For Online Edition: mailobserverbd©gmail.com
🔝
close