লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা সমাজসেবা অফিসে দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটে রয়েছে। ফলে অফিসের অনেক কাজ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দায়িত্বরতদের। ১৮টি পদের মধ্যে আছেন মাত্র চার জন। তাদের দিয়ে উপজেলার ২৪ হাজার প্রার্থীকে সেবা দিতে পারছে না সমাজসেবা অফিস।
এতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা।
জানা যায়, উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, কারিগরি প্রশিক্ষণ ও ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ কার্যক্রমসহ বেশ কয়েকটি কার্যক্রম সম্পাদনা করতে হয়। সর্বমোট ১১ টি ক্যাটাকরীতে ৫৪ সেক্টরে কাজ করার জন্য ১৮টি পদ রয়েছে। এই ১৮টি পদে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ লোক আছেন মাত্র চার জন। এতো কম জনবল সংকটের কারণে অনেকটা ধীরগতিতে চলছে এসব কার্যক্রম। এতে সীমাহীন সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে সমাজ সেবা অফিসকে।
উপজেলা সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, এ অফিসে একজন সহকারী সমাজসেবা কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও নেই, ফিল্ড সুপার ভাইজার নেই, সহকারী নেই, সাত জন ইউনিয়ন সমাজকর্মীর স্থলে আছেন মাত্র দু'জন, তিন জন কারিগরি প্রশিক্ষক থাকার কথা থাকলেও একজনও নেই। একজন কম্পিউটার অপারেটর থাকার কথা, তাও নেই। নেই বার্তা বাহক ও নৈশপ্রহরী। সব মিলিয়ে ধীর গতিতে চলছে সমাজসেবার এই অফিস।
দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ এ পদগুলো শূন্য থাকায় প্রতিনিয়ত অফিসের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জনবল সংকটের কারণে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কার্যক্রম যথাসময়ে বাস্তবায়ন করতে হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়। বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি, ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমসহ সরকারের নানা সেবায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বজলুল করিম বলেন, 'অফিসে জনবল না থাকার কারণে সমাজসেবা অফিসের কার্যক্রম অনেকটা ধীরগতিতে চলছে। ১৮ জনের স্থলে চার জন দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা অসম্ভব।'
তিনি বলেন, 'শূন্য পদ পূরণে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেবাপ্রার্থীদের দ্রুত সেবা দিতে গিয়ে কর্মরতদের অতিরিক্ত কাজ করতে হচ্ছে।'
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, 'শুধু রামগতি উপজেলা কেন?লোকবল সংকট এ জেলার সব উপজেলায়। বিষয়টি আমরা কর্তৃপক্ষকে কয়েকবার অবহিত করেছি।'
আরএম/এমএ