কলেজের নিজস্ব তহবিলের অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন কাজ না করে, সেই তহবিলের অর্থ থেকে শিক্ষকরা বছরে প্রায় ২৭ লাখ টাকার বাড়ি ভাড়া গ্রহণ করেন। এমন একটি অভিযোগপত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দাখিল করেছেন নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
কলেজের শিক্ষার্থীরা অভিযোগপত্রে লিখেন, কলেজের উন্নয়ন ফেলে রেখে শিক্ষকরা কলেজ তহবিল থেকে প্রতিমাসে ২লাখ ২৪ হাজার টাকা ও বছরে ২৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া বাবদ গ্রহণ করছেন। অথচ কলেজের শ্রেণিকক্ষের দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে, বেঞ্চগুলোর অবস্থাও নাজেহাল। অনেক স্থানে দেয়ালে ফাটল ধরেছে, জানালাগুলো ভেঙে ঝুলে আছে। কিন্তু এসব সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। অথচ তহবিলে অর্থ জমা হলেই শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া ও অতিরিক্ত ভাতা প্রদান করা হয়।
কলেজে এক হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী থাকলেও পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক পাখার অভাবে তারা গরমে কষ্ট পায়। কলেজে কোনো সীমানাপ্রাচীর না থাকায় বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ ঘটে, যা নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছে।
শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন, বাড়ি ভাড়া গ্রহণের এই প্রথা বিলুপ্ত করে সেই অর্থ কলেজের উন্নয়ন ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ব্যয় করা হোক।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইমরানা পারভীন জানান, "আমি কিছুদিন হলো দায়িত্ব নিয়েছি। শিক্ষকরা পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী ১৫% হারে বাড়ি ভাড়া পাচ্ছেন, যা সরকারি বিধি মোতাবেক প্রদান করা হয়। তবে যখন ফান্ডে টাকা থাকে, তখনই এটি প্রদান করা হয়, প্রতি মাসে নয়। উন্নয়নের চেষ্টা চলছে এবং এ বিষয়ে কলেজ সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবগত আছেন।"
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, "শিক্ষার্থীদের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
এসআই/এসআর