অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে এমন তথ্য সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পুরোপুরি চালু থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে বিবৃতিটি শেয়ার করেছেন।
এতে বলা হয়, রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিট দ্য রিপোটার্স অনুষ্ঠানে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পর কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে।
সেখানে বলা হয়, সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে- এটা সঠিক নয়, বরং সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চলমান থাকবে।
রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভা হয়তো নভেম্বরেই শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়ে মাহফুজ আলম বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার মধ্যে ২৩টি আশু করণীয় ছিল। যা এই সরকারের সময়সীমার মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করে ১৩টি প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এটা শিগগিরই আপনারা দেখতে পাবেন। এটা যে খুব বড় কিছু এমন নয়। কিন্তু আমাদের যে সময়সীমা আছে, তখনকার জন্য ছিল তিন মাস। এখন হয়তো আর এক মাস আছে।’
তিনি বলেন, ‘যে জিনিসগুলো করা হবে, সেটা কেবিনেটে করতে হবে। অথবা নীতিমালা বা অধ্যাদেশ প্রণয়ন করতে হবে। এসব জিনিস আমরা হয়তো নভেম্বরের পরে আর করতে পারব না। কারণ নভেম্বরেই হয়তো কেবিনেট মিটিংটা ক্লোজড হয়ে যাবে। এরপর নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেবে এবং নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরে স্বভাবতই আর কেবিনেট বসে না। তাই আইন প্রণয়নের যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো আমরা আগামী মাসের মধ্যেই করতে চাই। আর যেগুলো মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার মাধ্যমে করতে পারব সেগুলোও শিগগিরই করে ফেলব।’