রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদের স্টেকহোল্ডারদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার।
সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোবারা হোসেনের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কাপ্তাই হ্রদে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি, সংরক্ষণ ও হ্রদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা বিষয়ে করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বক্তারা হ্রদের ভরাট অংশ খননের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। তারা মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন সময়ে জেলেদের বরাদ্দকৃত চালের পরিমাণ ২০ কেজি থেকে বাড়িয়ে ৪০ কেজি করার দাবি জানান। পাশাপাশি হ্রদে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ ও রাঙামাটিতে খোলা বাজারে মাছের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবও করেন। এছাড়াও বিএফডিসিকে আধুনিকায়নের দাবিও জানানো হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “নাব্যতা কাপ্তাই হ্রদের প্রধান সংকট, এবং নিয়মিতভাবে হ্রদটি দূষিত হচ্ছে। এই দূষণ মাছের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করছে।”
তিনি আরও জানান, হ্রদ খননের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের সাথে সমন্বয় করে সভা করা হবে। নিষিদ্ধকালীন সময়ে জেলেদের প্রতি পরিবারে ৫০ কেজি করে চাল দেয়ার প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়েছে। মাছের গুণগত মান রক্ষায় বিএফডিসিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এছাড়া, অবৈধ জাল উৎপাদন বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান। বিএফডিসি, মৎস্য অধিদপ্তর ও মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে মৎস্য উন্নয়নে কাজ করার আশ্বাস দেন উপদেষ্টা।
নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন, সরকার নয়। প্রধান উপদেষ্টা যেভাবে বলেছেন, সেভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী, বিএফডিসি রাঙামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফায়েজ আল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, জেলা সিভিল সার্জন ডা. নুয়েন খীসা প্রমুখ। সভায় জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
এসআই/আরএন