ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। শনিবার (১১ অক্টোবর) ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
এর আগে, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ২৫ মিনিট) শহিদুল আলমকে বহনকারী টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ইসরায়েল থেকে ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখানে তাকে স্বাগত জানান ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. মিজানুর রহমান। পরে ইস্তাম্বুলের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের অপর একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।
আজ (শনিবার) ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকায় পৌঁছায়। ভোর ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে তিনি শাহজালাল বিমানবন্দরের ভিআইপি গেট দিয়ে বের হয়ে আসেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা, যারা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
আলোকচিত্রী শহিদুল আলম স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ‘দৃক’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি নাগরিক অধিকার রক্ষায়ও সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছেন। সম্প্রতি ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন’ নামের একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মের অংশ হিসেবে গাজাগামী একটি নৌবহরে অংশ নেন তিনি। গত বুধবার ওই নৌবহরে ইসরায়েলি বাহিনী আক্রমণ চালিয়ে সব অধিকারকর্মী ও নাবিককে আটক করে।
গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙা এবং ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে এই নৌবহরটি যাত্রা শুরু করে। ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা’ নামক আরেক উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই বহরে আরও আটটি নৌযান অংশ নেয়। মোট ৯টি নৌযানের এই বহরে বিভিন্ন দেশের রাজনীতিক, সাংবাদিক, চিকিৎসক এবং মানবাধিকারকর্মীরা অংশ নেন। তাদের মধ্যেই ছিলেন শহিদুল আলম।
আটকের পর শহিদুল আলমসহ অনেককে ইসরায়েলের কেতজিয়ত কারাগারে নেওয়া হয়। তাকে মুক্ত করতে বাংলাদেশ সরকার শুরু থেকেই কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে আসছিল, যার মধ্যে জর্ডান, মিসর ও তুরস্কের মাধ্যমে যোগাযোগ ছিল উল্লেখযোগ্য।
আরএন