ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও অংশে সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, একাধিক যানবাহন বিকল হওয়া এবং সড়কে খানাখন্দের কারণেই এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১টার পর থেকে দুই মহাসড়কে যানজট শুরু হয়। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করলেও দুপুর ২টার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তবে এখনও ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁও অংশে ছোট-বড় মিলিয়ে তিনটি গাড়ি বিকল হয়ে পড়লে সেখানে যানজট শুরু হয়। অন্যদিকে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তারাবোসহ কয়েকটি অংশে খানাখন্দ থাকায় যানবাহন ধীরে চলতে বাধ্য হচ্ছে, ফলে ভোগান্তি আরও বেড়েছে।
এক যাত্রী, আদনান আহমেদ তুষার, জানান, “মেঘনায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে কাঁচপুর থেকে গাড়িতে উঠি। মদনপুর এলাকায় এসে যানজটে আটকে পড়েছি। প্রতি কয়েক মিনিট পরপর অল্প সময়ের জন্য গাড়ি চলে, আবার থেমে যায়।”
আরেক যাত্রী, চাকরিজীবী আসাদুল ইসলাম বলেন, “সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া থেকে কাজের উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠি। টিপরদী এসে প্রচণ্ড যানজটে আটকে পড়েছি। এখনো ১ কিলোমিটারও পার হতে পারিনি। উভয় লেনে তীব্র যানজট রয়েছে। শুনেছি কয়েকটি গাড়ি বিকল হয়ে গেছে।”
শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন বলেন, “ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ থাকায় প্রতিনিয়তই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। চালকরা এসব খানাখন্দ এড়িয়ে চলতে গিয়ে লেন পরিবর্তন করেন, ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।”
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, “শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি ১৪ চাকার ট্রাক, একটি মিনি পিকআপসহ মোট তিনটি গাড়ি বিকল হয়ে যায়। বিকল গাড়িগুলো সরানোর কাজ চলছে। যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে। বর্তমানে গাড়ি চলাচল করছে, তবে ধীরগতিতে।”
এমএইচ/আরএন