নির্বাচন কমিশন কার্যালয় জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ভোট গণনা শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলের ভোটকেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্সগুলো সিনেট হলে আনা হচ্ছে।
সিনেট হলেই ভোট গণনা শুরু হবে এবং সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি স্থানে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সরাসরি প্রদর্শন করা হবে। এখানেই ফল ঘোষণা করা হবে।
এদিকে, ভোট গণনার জন্য ব্যালট বাক্সগুলো সিনেট হলে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এ সময় সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
এর আগে, আজ বিকেল ৪টার দিকে ভোটগ্রহণে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন বর্জন করে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল। একই সময়ে, ছাত্রী সংস্থার জাল ভোটের অভিযোগসহ নানা অনিয়মের কারণে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ এবং ছাত্র ফ্রন্টের প্যানেল ‘সংশপ্তক পর্ষদ’ ভোট বর্জন করে।
ছাত্রদলের অভিযোগ, ব্যালট পেপার ছাপা হয়েছে জামায়াতের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে।
অন্যদিকে, শিবির-সমর্থিত ভিপি প্রার্থীর দাবি—জামায়াত নয়, বরং বিএনপি-সমর্থিত একটি প্রতিষ্ঠানে ব্যালট ছাপা হয়েছে।
‘সংশপ্তক পর্ষদ’-এর জিএস পদপ্রার্থী জাহিদুল হাসান ইমন বলেন, ‘ছাত্রী সংস্থার মেয়েদের জাল ভোটের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে ১৫ নম্বর ছাত্রী হল কেন্দ্রে। ভোট দেওয়ার স্থানে পূরণকৃত ব্যালট পাওয়া গেছে। শহীদ সালাম বরকত হলে ভোটার সংখ্যা ২৯৯ জন হলেও সেখানে ব্যালট পেপার পাঠানো হয়েছে ৪০০টি। ভোটার তালিকায় ছবি সংযুক্ত করা হয়নি। যে কেউ এসে ভোট দিয়ে যাচ্ছে। রফিক-জব্বার হলে এর প্রমাণও মিলেছে।’
নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম, ছাত্রশিবিরের সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট, ছাত্রদলের নিজস্ব প্যানেল, বামপন্থীদের তিনটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দুটি প্যানেলসহ মোট ৮টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এতে মোট প্রার্থী রয়েছেন ১৭৮ জন। জাকসু নির্বাচনের জন্য ২১টি হলে মোট ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
আরএন