মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শ্রীপুর জালালিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কামিল (স্নাতকোত্তর) শ্রেণীতে পাঠদানের প্রাথমিক অনুমতি লাভ করেছে। ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটিকে হাদিস বিভাগে কামিল স্তর খোলার এই অনুমোদন দিয়েছে।
বুধবার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামসুল হক এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানান।
এর মাধ্যমে মাদ্রাসাটি মৌলভীবাজার জেলার মধ্যে দ্বিতীয় এবং কুলাউড়া উপজেলার ইতিহাসে প্রথম বেসরকারি কামিল (মাস্টার্স) কোর্স চালু করা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটিতে পরিণত হলো।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদ্রাসা পরিদর্শন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, কামিল (স্নাতকোত্তর) দুই বছর মেয়াদী হাদিস বিভাগ প্রাথমিক পাঠদান অনুমতির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ কর্তৃক আবেদনের প্রেক্ষিতে গঠিত পরিদর্শন কমিটির দাখিলকৃত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেয়। মঙ্গলবার ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদ্রাসা পরিদর্শক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আইউব হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ শ্রীপুর জালালিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বরাবরে পাঠানো হয়।
ওই আদেশে বলা হয়, ২৭ আগস্ট ২০২৫ থেকে ২৬ আগস্ট ২০২৮ পর্যন্ত তিন বছরের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে কামিল (স্নাতকোত্তর) দুই বছর মেয়াদী কোর্সের হাদিস বিভাগে প্রাথমিক পাঠদানের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটিতে কামিল স্তর অনুমোদনের লক্ষ্যে পরিদর্শনে আসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রইছ উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মস্তফা মঞ্জুর এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক আরিফ আহমেদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি এডভোকেট এ. এন. এম. খালেদ লাকী, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামসুল হক, গভর্নিং বডির সদস্যবৃন্দ, শিক্ষকমন্ডলী এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
পরিদর্শন শেষে অতিথিবৃন্দ মাদ্রাসার সার্বিক পরিবেশ, শিক্ষা কার্যক্রম ও অবকাঠামো দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে এবং মাদ্রাসাটিকে কামিল (মাস্টার্স) স্তরে উন্নীত করার ঘোষণা দেন।
এক প্রতিক্রিয়ায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শামসুল হক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত যারা মাদ্রাসার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করেছেন তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এছাড়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় যারা অবদান রেখে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন, 'এই অনুমোদনের মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের আরও একটি দ্বার উন্মুক্ত হলো। এখন থেকে ফাজিল পাশ শিক্ষার্থীদের উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের জন্য জেলা কিংবা বিভাগীয় শহরে যেতে হবে না।'
এসআর/এমএ