দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) বাসে কথা কাটাকাটির জেরে শিক্ষার্থীদের দুইটি পক্ষের মধ্যে মারামারিতে ৩জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ফিজিক্স ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আনসারুল ইসলামকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ১০ টার দিকে হাবিপ্রবির ক্যাম্পাসের বাসষ্ট্যান্ডে এই মারামারির ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- এগ্রিকালচারাল এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ নাঈমুর রহমান দুর্জয়, ইংরেজি ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ সাব্বির আহমেদ তানভীর হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী জয় আহমেদ।
হাবিপ্রবির বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, রবিবার (১৯ অক্টোবর) রাত নয়টার বাসে শহর থেকে ক্যাম্পাসে আসার পথে বাসের মধ্যে হাবিপ্রবির ফিজিক্স ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আনসারুল ইসলাম জুনিয়র কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আস্তে কথা বলতে বলেন। এতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর বাস ক্যাম্পাসে পৌছালে বাস থেকে নামার পর দুই পক্ষের মধ্যে আবারও কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ সময় ৩ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহত অবস্থায় তাদেরকে রাতে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে আহত শিক্ষার্থী জয় আহমেদ বলেন, আমি বাস থেকে নেমে দেখি আমার এক ছোট ভাইকে একজন ধাক্কাধাক্কি করছে। আমি তার কাছে গেলে দেখি ওই ব্যক্তির হাতে ছুরি এবং এলোপাথাড়ি ছুড়ি চালাচ্ছে। এসময় আমিসহ আরও দুইজন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হই।
অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আনসারুল ইসলাম বলেন, গতকাল রবিবার রাতে শহর থেকে বাসে করে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী বাসের মধ্যে উচ্চস্বরে কথা বলছিল। তখন একজন সিনিয়র ভাই তাদেরকে আস্তে কথা বলতে বলেন। এ সময় তাদের মধ্যে একজন ওই সিনিয়র শিক্ষার্থীর সাথে উচ্চস্বরে কথা বলায় আমি তাকে এভাবে কথা বলতে নিষেধ করি। এরপর ওই ছেলে কয়েকজনকে ফোন করে এবং ক্যাম্পাসের বাসস্ট্যান্ডে নামার পর ১০-১২ জনকে জড়ো হয়ে থাকতে দেখি। এরপর তারা আমাকে ধরে মারধর করে। আমাকে মারধর করায় আমি প্রতিবাদ করি। এ সময় হয়তো কেউ হাতে আঘাত পেয়ে থাকতে পারে এটা আমি জানিনা। আমার কাছে ধারালো অস্ত্র বা অন্য কোনকিছু ছিলোনা।
আতদের দাবী আনসারুল ইসলাম বাংলাদেম ইসলামী ছাত্র শিবির হাবিপ্রবি শাকার কর্মী। সে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হলে থাকেন।
এ ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা বলেন, আনসারুল ইসলাম নামে যে শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাকে আমরা সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছি। ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএইচএম/এসআর