হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার সকাল সাড়ে ১২টায় দুদক হবিগঞ্জ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে একটি টিম এ অভিযান চালায়। এ সময় দুদকের সদস্যরা পুরো হাসপাতাল চত্বর ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন।
উপ-পরিচালক মোঃ এরশাদ মিয়া জানান, “আমাদের কাছে অভিযোগ আসে যে, হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও খাবার সরবরাহে অনিয়ম রয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আমরা অভিযান পরিচালনা করি।”
তিনি আরও বলেন, “অভিযানকালে খাবারের অন্যান্য আইটেম সঠিক পাওয়া গেলেও সকালের নাস্তার পাওরুটিতে কোনো লেভেল (লেবেল) বা উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা ছিল না। ফলে রুটিটি কোথা থেকে এসেছে বা এর মেয়াদ কতদিন—তা বলা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রাথমিকভাবে অবহিত করা হয়েছে। তারা দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।”
তিনি আরও জানান, “হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আজ মোটামুটি ঠিকঠাক রয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, আমাদের আসার খবর পেয়ে আগেভাগেই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।”
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে বর্তমানে ৫০০-এর বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। যার ফলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনার চিত্র ফুটে উঠেছে। হাসপাতালের আরএমও জানিয়েছেন, জনবল সংকটের কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
উপ-পরিচালক এরশাদ মিয়া জানান, এসব বিষয় সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে কাউকে না জানিয়ে আকস্মিকভাবে আবারও এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হবে।
হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আমিনুল হক সরকার বলেন, “আমরা আমাদের সাধ্যমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার চেষ্টা করছি। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদেরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “যথাযথ পরিমাণ জনবল থাকলে আমাদের সংকট অনেকটাই দূর করা সম্ভব হবে।”
এমআর/আরএন