সরবরাহ সংকটের অযুহাতে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলিতে বেড়েছে আলু, পেঁয়াজ, আদা ও ডিমের দাম। দুই দিনের ব্যবধানে প্রতিটি পণ্যে প্রকারভেদে দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
রোববার দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই দিন আগে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও ১০০ টাকা কেজির আদা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে, আলু কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে ১৪ টাকা কেজির আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ টাকা আর এক খাচি (৩০ পিচ) ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা দরে যা দুই দিন আগেও বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা দরে।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রফিক বলেন, 'সে দিন এক কেজি পেঁয়াজ কিনে নিয়ে গেলাম ৫০ টাকা দিয়ে আজ এসে শুনি ৭০ টাকা কেজি। আমাদের আয় বাড়ে না কিন্তু জিনিসের দাম বাড়ে। সরকারের কাছে অনুরোধ সব জিনিসের দাম যেন কমে যায়।'
ডিমের ক্রেতা আজাদ বলেন, 'হঠাৎ ডিমের দাম এসে শুনি বেশি। ডিমের দাম কম হলে আমাদের নিম্নবিত্তদের জন্য ভালো। কারণ আমরা তেমন মাছ মাংস কিনতে পারিনি তাই ডিমের দাম কম হলে ভালো।'
আলু ও আদা ক্রেতা আলী হাসান বলেন, 'হিলি বাজারে আজ এসে দেখি গত দুই দিনের তুলনায় সব জিনিসের দাম বেশি। ১৪ টাকা কেজির আলু কিনতে হলো ১৮ টাকা আবার ৯০ টাকা কেজির আদা কিনতে হলো ১৫০ টাকা কেজিতে। এভাবে দাম বাড়লে আমরা কিভাবে কি করবো?'
হিলি বাজারের ব্যবসায়ী শাকিল আহমেদ বলেন, 'দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ সংকটের কারণে মোকামে অনেক দাম বেড়েছে। আগে ৪৮/৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি এখন মোকামেই আমাদেরকে ৬০/৬২ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। যার কারণে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ায় আমাদের বিক্রি অনেক কমে গেছে। আদার সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।'
হিলি বাজারের এক ডিম ব্যবসায়ী বলেন, 'খাদ্যের দাম বৃদ্ধির অযুহাতে খামার মালিকরা ডিমের দাম বেশি নিচ্ছেন। ফলে বেশি দামে ডিম কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।'
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক নুর আলম বাবু বলেন, 'যেহেতু দেশের বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের সংকট তৈরি হয়েছে এবং দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই সরকারের কাছে অনুরোধ পেঁয়াজ আমদানি জন্য আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) দেওয়া হোক। যাতে পেঁয়াজ আমদানি করে দেশের বাজারে দাম স্বাভাবিক করা যায়।'
এমআর/এমএ