রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের খাদ্য ও আবাসন সংকট নিরসনে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করেছে শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট। বুধবার বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি তুলে ধরে।
গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল ডাইনিং বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের খাদ্য নিরাপত্তার দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি, আবাসন সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ গণরুম কিংবা বাইরের মেসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী উচ্চমূল্যের, অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছে এবং আবাসনের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
তারা আরও অভিযোগ করে, গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষাবান্ধব প্রশাসনের যে প্রত্যাশা ছিল, তা পূরণ হয়নি। বরং পুরোনো সংকটগুলো এখনও বিদ্যমান।
দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট সাতদিনব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করে তারা।
দাবিগুলো হলো: নতুন হল নির্মাণ ও শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত করা।, বৈধভাবে সিট বরাদ্দ চালু ও কার্যকর গণরুম ব্যবস্থা চালু করা।, ডাইনিংয়ে ভর্তুকি দিয়ে মানসম্মত খাবার সরবরাহ করা।, ক্যাম্পাস ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাসমূহ সংস্কার করা।, মেডিকেল সেন্টারে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসাসেবা চালু, প্রয়োজনীয় জনবল ও ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করা; পাশাপাশি গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করে রাকসু নির্বাচন আয়োজন এবং বিভিন্ন হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, "শতভাগ আবাসন এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তুকি দিয়ে পুষ্টিকর ও মানসম্মত খাবার নিশ্চিত করার বদলে ডাইনিং বন্ধ করে দিচ্ছে এবং দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "সম্প্রতি বেশ কিছু সংগঠন শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কাজ করলেও, অনেকের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র রাকসু নির্বাচনের জনসংযোগ কিনা—এ প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে।"
পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় সব ছাত্র সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধভাবে শিক্ষার্থীদের পক্ষে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
এফএ/আরএন