ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় এই ঘোষণা দেন। ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ায় মুশফিক এখন থেকে শুধু টেস্ট খেলবেন। ২০২২ সালে তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন।
বুধবার (৫ মার্চ) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন এই উইকেটকিপার।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে মুশফিক অবসরের ঘোষণা দিয়ে লিখেছেন, ‘আজ আমি ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করছি। আলহামদুলিল্লাহ, সব কিছুর জন্য। যদিও বৈশ্বিকভাবে চিন্তা করলে আমাদের অর্জন সীমিত হতে পারে, তবে এ কথা নিশ্চিত যে, যখনই আমি আমার দেশের জন্য মাঠে নামতাম, আমি নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে শতভাগের বেশি দিয়ে খেলতাম।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাজে ফর্ম ও দলের ভরাডুবির দিকে ইঙ্গিত করে মুশফিক আরও লিখেছেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ আমার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল এবং আমি উপলব্ধি করেছি যে, এটাই আমার ভাগ্য।’
সবশেষে পবিত্র কুরআনের একটি আয়াতও উদ্ধৃত করেছেন মুশফিক। লিখেছেন, ‘আল্লাহ কুরআনে বলেছেন: ‘‘তিনি যাকে ইচ্ছা সম্মান দেন এবং যাকে ইচ্ছা অপমান করেন।’’ (সুরা আল-ইমরান, ৩:২৬)। মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন এবং সকলকে সঠিক ঈমান দান করুন। সবশেষে আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই আমার পরিবার, বন্ধু এবং আমার ভক্তদের, যাদের জন্য আমি গত ১৯ বছর ধরে ক্রিকেট খেলেছি।’
প্রসঙ্গত, চোট কাটিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে দলে ফিরেছিলেন মুশফিক। যদিও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়েছিলেন। এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেন ৫ বলে ২ রান। দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার সময়ে সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে চাহিদা মাফিক ব্যাটিং করতে না পারায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। তবে সেই সমালোচনা দীর্ঘায়িত করতে দিলেন না স্বয়ং মুশফিকই।
২০০৬ সালে প্রথম ওয়ানডে খেলা মুশফিক গত ১৯ বছরে খেলেছেন ২৭৪ ম্যাচ। ৯ সেঞ্চুরি ও ৪৯ ফিফটিতে ৩৬.৪২ গড়ে করেছেন মোট ৭৭৯৫ রান, যা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলকে ওয়ানডেতে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।
আরএন