আয়ারল্যান্ডকে ২১৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এতে আইরিশদের ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ।
আইরিশদের ৫০৯ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেওয়া বাংলাদেশ শনিবার ১৭৬ রান খরচায় তুলে নিয়েছিল ৬ উইকেট। রোববার পঞ্চম দিনে সিরিজ জয় আর হোয়াইটওয়াশ করাটাকে সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে হচ্ছিল।
তবে আইরিশরা কাজটা মোটেও সহজ হতে দেয়নি। দিনের শুরুতে তাইজুল ইসলাম প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ২৫০ টেস্ট উইকেটের মালিক বনে যান। তবে এরপর থেকে প্রতিরোধ গড়ে সফরকারীরা। পরের দুই জুটিতে যথাক্রমে ৮৫ বলে ৪৮ আর ১৯১ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়ে। দুটি জুটিতেই নেতৃত্বে দেন কার্টিস ক্যামফার। তিনি ২৫৯ বলের ম্যারাথন ইনিংস খেলে করেন ৭১ রান। তার ব্যাটে ড্রয়ের শঙ্কাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ শিবিরে।
সে শঙ্কা অবশ্য এক ওভারেই উবে যায়। হোয়ি বিদায় নেন ১০৪ বলে ৩৭ রান করে। হাসান মুরাদ তাকে বিদায় করেন। তিনি শেষ উইকেটটা তুলে নিতেও ভুল করেননি। ম্যাথিউ হামফ্রিসকে প্রথম বলেই বোল্ড করলে বাংলাদেশ ম্যাচটা যেতে বড় ব্যবধানে। তাইজুল আর হাসান মুরাদ নেন ৪টি করে উইকেট।
এর আগে প্রথম ইনিংসে মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাসের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ তোলে ৪৭৬ রান। জবাবে আইরিশরা অলআউট হয় ২৬৫ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে তোলে ২৯৭ রান। ফিফটি করেন মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক আর মুশফিকুর রহিম। ৫০৮ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। শেষ ইনিংসে আইরিশরা বাধার দেয়াল তুলে দিলেও বাংলাদেশ ম্যাচটা যেতে ২১৭ রানের বিশাল ব্যবধানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ৪৭৮/১০ (লিটন ১২৮, মুশফিক ১০৬; ম্যাকব্রাইন ১০৯/৬)
আয়ারল্যান্ড ২৬৫/১০ (টাকার ৭৫*, নেইল ৪৯; তাইজুল ৭৬/৪)
বাংলাদেশ ২৯৭/৪ (মমিনুল ৮৭, সাদমান ৭৮; হোয়ি ৮৪/২)
আয়ারল্যান্ড ২৯১/১০ (ক্যামফার ৭১, টেক্টর ৫০; মুরাদ ৪৪/৪, তাইজুল ১০৪/৪)
ফল- বাংলাদেশ ২১৭ রানে জয়ী।
সিরিজ- বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে জয়ী।
এমএ