মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, দুর্যোগকালে জনদুর্ভোগ লাঘবে সরকার আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করছে।
তিনি বলেন, অতীতে অনেক ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নিচু ও বন্যাপ্রবণ এলাকায় নির্মিত হয়েছে, যা বাস্তব দুর্যোগের সময় কার্যকর হয়নি। যদি এসব কেন্দ্র উঁচু স্থানে নির্মাণ করা হতো, তাহলে সেগুলো অধিক কার্যকর হতো। স্থানীয় জনগণের আপত্তি সত্ত্বেও এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এসব নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে, যা দুর্যোগকালীন সময়ে জনগণের উপকারে আসবে না।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
আজ (শুক্রবার) সকালে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর এবং চটচটিয়া শিবনগর খেয়াঘাট এলাকায় নির্মাণাধীন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, যেসব আশ্রয়কেন্দ্র সঠিকভাবে স্থান নির্ধারণ না করেই নির্মিত হয়েছে, সেগুলোর কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। বর্তমানে নির্মাণাধীন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে যেগুলোর কার্যকারিতা নেই, সেগুলোর বিষয়ে নিরীক্ষা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে তিনতলা বিশিষ্ট দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে, যেখানে দুর্যোগকালীন সময়ে দ্বিতীয় তলায় নারী ও শিশুরা এবং তৃতীয় তলায় পুরুষরা অবস্থান করবেন।
উপদেষ্টা বলেন, সরকার জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে অর্থ ব্যয় করছে। দুর্যোগকালে এই ভবনগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এবং অন্যান্য সময় জনস্বার্থে ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে।
২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণাধীন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন তিনি।
এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান, খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিকুর রহমান, সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী অফিসার, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপদেষ্টা বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণকাজও পরিদর্শন করেন।
এসএস/আরএন