পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ধারালো শাবলের আঘাতে জহির উদ্দিন (৫০) নামে এক ব্যক্তির দুই পা ভেঙে পঙ্গু করে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। বুধবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের পামুলীপাড়া এলাকায় নৃশংস এ ঘটনা ঘটে।
একই দিন দিবাগত রাতে আহতের ছেলে শাহজামাল বাদি হয়ে একই এলাকার মো. মধু মিয়া, তার ছেলে মানিক হোসেন ও সেলিম ইসলামসহ ছয় জনকে আসামি করে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জহির উদ্দিন ও মধু মিয়ার পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ ও মামলা চলছিল। ঘটনার দিন দুপুরে জহির উদ্দিন ঘাস কেটে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মধু, তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও পুত্রবধূরা মিলে তার পথরোধ করে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে ধারালো শাবল দিয়ে জহিরের দুই পায়ে উপুর্যপুরি কোপ মারে তারা। এতে তার দুই পায়ের হাড় ভেঙে যায়।
মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।
অন্যদিকে, হামলার পর মধু মিয়া ও তার ছেলে মানিক নিজেরাও মারধরের শিকার দাবি করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
স্থানীয়রা জানান, মানিক নিজেই কপালে ব্লেড দিয়ে কেটে হাসপাতালে আসে। যেখানে জহিরকে একা পেয়ে তারা নির্মম ভাবে পেটায়, সেখানে তাদের ওপর পাল্টা হামলার প্রশ্নই আসে না।
খবর পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মধু ও মানিককে পুলিশ তাৎক্ষণিক ভাবে আটক করে।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, 'এ ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং ইতিমধ্যে পুলিশ দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে।'