সাভারের হেমায়েতপুরে চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস রিমন হত্যা মামলার ১ বছর পর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনসহ ঘটনার সাথে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাদেরকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদানের জন্য বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার দুপুরে সাভার সার্কেল কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির।
নিহত রিমন হোসেন (২৩) পাবনা জেলার সাথিয়া থানার শংকর পাশা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। সে হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ি এলাকার এমই বিডি টেক লিমিটেড ফ্যাক্টরীতে প্রায় দেড় বছর ধরে সিকিউরিটি গার্ডের চাকুরী করিতেছিল।
অন্যদিকে গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট থানার গাংনি সরকারপাড়া গ্রামের রুহল আমিনের ছেলে মোঃ মানিক মোল্লা (৩৮), ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার নলছিটি হাসপাতাল রোড মহল্লার নরেন সরকারের ছেলে।
ভোলা সরকার ওরফে মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪০), ঢাকা জেলার সাভার থানার হেমায়েতপুর জয়নাবাড়ি এলাকার আলম মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৫), হযরত আলীর ছেলে মোঃ হৃদয় আহমেদ (২৭)।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির বলেন, গত বছরের তিন আগস্ট সাভারের হেমায়েতপুরে এমই বিডি টেক লিমিটেড কারখানায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে একদল ডাকাত হানা দেয়। এসময় ডাকাতরা কারখানার নিরাপত্তা কর্মী রিমন হোসেনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তার ব্যবহৃত দুটি এ্যন্ড্রয়েট মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এ ঘটনার এক বছর পর পুলিশ শনিবার উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যার সাথে জড়িত মানিক মোল্লা নামে এক খুনিকে গ্রেপ্তার করে। পরে মানিকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকারী ভোলা সরকার ওরফে আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাইফুল ইসলাম ও হৃদয় আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে মূলত হত্যাকারীরা ঐ কারখানায় হানা দিলেও রিমনের জন্য ডাকাতি করতে না পারায় তাকে নিরাপত্তাকর্মীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ডাকাতরা।
আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসময় সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিঞাসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওএফ/এসআর