কক্সবাজারের টেকনাফে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইমদাদ হোসেন (৪৭) নামে এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার ভোর তিনটায় টেকনাফ পৌরসভার উত্তর জালিয়াপাড়ার মৃত উমর ছিদ্দিক মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন নিহতের বাড়ির সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি তদন্ত হিমেল রায়।
নিহত ইমদাদ টেকনাফ পৌরসভার ৭নং ওর্য়াড উত্তর জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মৃত আলী হোসেনের ছেলে। তিনি একজন পানের দোকানদার।
ওসি তদন্ত হিমেল রায় জানান, বৃহস্পতিবার টেকনাফ পৌরসভার উত্তর জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা নুরুল আলম ওরফে পুতুইয়ার ছেলে মো. আরকানের বিয়ের অনুষ্ঠানে মদপানকে কেন্দ্র করে একই এলাকার আব্দুর রহমানের সঙ্গে নিহত ইমদাদ হোসেনের কথা-কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। পরে ইমদাদ হোসেন ঘটনাস্থল থেকে পানের দোকান বন্ধ করার জন্য বাজারের দিকে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা পথ গতিরোধ করে প্রথমে কোপানো হয়। এরপর উমর ছিদ্দিক মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন সড়কে ফেলে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ইমদাদ হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসিফ আলভী বলেন, ভোর পাঁচটার দিকে ইমদাদ হোসেন নামে একজন ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ নিহতের লাশটি উদ্ধার করেছেন।
নিহতের ছোট ভাই শামসু আলম বলেন, দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফেরারপথে একই এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুস সালামের ছেলে কামাল হোসেন ও নুরুল ইসলামের নেতত্বে আব্দুর রহমান, মো. ইসমাইল, মো শফিক, মো. হামিদ ও সৈয়দ আলমসহ আরও ৪/৫জন মিলে প্রথমে বড় ভাই ইমদাদ হোসেনকে কোপানো হয়। এরপর জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন সন্ত্রাসীরা।
টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক ওসি তদন্ত হিমেল রায় বলেন, স্থানীয় লোকজন ঘটনার পর কামাল হোসেন নামে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এএইচএসইউ/ এসআর