ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গণছুটি কর্মসূচির কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো গ্রাহক। বিদ্যুৎ সেবার পাশাপাশি বন্ধ হয়ে গেছে অন্যান্য জরুরি সেবাও।
নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস ও এর দুটি উপশাখার আওতায় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু গত রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৪ দফা দাবিতে গণছুটি পালন শুরু করলে বিদ্যুৎ বিতরণে বিপর্যয় দেখা দেয়। এতে জিনোদপুর ইউনিয়ন, সলিমগঞ্জ, বড়িকান্দি ও নাটঘরসহ কয়েকটি এলাকায় শত শত গ্রাহক বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন।
স্থানীয় আব্দুল হালিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দুদিন যাবত পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যাচ্ছি, কাউকে পাচ্ছি না। বিল জমা দিতে পারছি না, এতে জরিমানার শঙ্কা রয়েছে। এর বিচার কার কাছে দেব?”
একই অভিজ্ঞতার কথা জানান ভুক্তভোগী সুমন মিয়া। তিনি বলেন, “তিন দিন ধরে আমার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। বারবার ফোন দিলেও অফিস থেকে কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রচণ্ড গরমে আমরা এখন অসহায়।”
এ বিষয়ে নবীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সরকারি এজিএম তূর্য মিত্র জানান, কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নের খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটিতে থাকায় সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না।
একইভাবে অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. ওয়াদুদ হোসেন বলেন, “সাত লক্ষ মানুষের এই উপজেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা জটিল। এর মধ্যে কর্মবিরতির কারণে অভিযোগ আসলেও তা সমাধান করা যাচ্ছে না।”
উল্লেখ্য, ৭ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী একযোগে গণছুটিতে রয়েছেন। ফলে সারাদেশেই বিদ্যুৎ সরবরাহে ভোগান্তি দেখা দিয়েছে।
এদিকে সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহকে জরুরি পরিষেবা উল্লেখ করে কর্মচারীদের অবিলম্বে কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দিলেও এখনো কেউ সে নির্দেশ মানেননি।
এমএসপি/ এসআর