মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্মকর্তার নির্দেশে এক গ্রাহকের মিটার খুলে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ফলে ভুক্তভোগী পরিবার বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
গত রবিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের শ্যামসিদ্ধি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. মোজাম্মেল হকের বাড়ি থেকে মিটার খুলে নিয়ে যায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীরা।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, গত শনিবার রাত ৯টার দিকে বাড়ির পাশের বিদ্যুৎ খুঁটিতে মেরামত কাজ করতে আসে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীরা। কাজ শেষে বিদ্যুৎ সচল না করেই তারা চলে যেতে চাইলে বাড়ির মহিলারা আপত্তি জানান। এ সময় কর্মীরা ইঙ্গিত দেন, খরচ-খরচা দিলে সংযোগ সচল করে দেবেন। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হলে উপস্থিত মোজাম্মেল হকের সঙ্গে কর্মীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে। এর জের ধরে পরদিন খালি বাড়ি থেকে মিটার খুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মিটার খুলে নেওয়ার কারণে দুই দিন ধরে ওই পরিবার বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। স্কুলপড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা বিঘ্নিত হচ্ছে এবং পরিবারটি মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
মো. মোজাম্মেল হক অভিযোগ করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার মিটার খুলে নেওয়া হয়েছে। ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষা চলছে, বিদ্যুৎ না থাকায় তারা পড়াশোনা করতে পারছে না। পুরো পরিবার নিয়ে বিপাকে আছি।
এ বিষয়ে শ্রীনগর পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম খন্দকার মাহামুদুল হাসান বলেন, আমার কর্মচারীকে ধাক্কা দেওয়ার কারণে পরদিন ওই বাড়ি থেকে মিটার খুলে আনা হয়।
এ প্রসঙ্গে মুন্সীগঞ্জ জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি মো. হামিদুর ইসলাম লিংকন বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের দায়িত্ব হলো গ্রাহকদের সেবা দেওয়া। কোনো কর্মী সেবা প্রদানে ব্যাহত করলে বা ক্ষমতার অপব্যবহার করলে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচআইএল/এসআর