নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের ৩৮ নম্বর ধানুয়া উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শ্রেণি পাঠদান। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে। যে কোনো মুহূর্তে ভবনটি ধসে পড়তে পারে—এমন আশঙ্কায় আতঙ্কে দিন কাটছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের।
বিদ্যালয়টি ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্মাণের সময়ই নিম্নমানের কাজ হয়েছিল। এলজিইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের যোগসাজশে নিম্নমানের কাজের কারণে ভবনটি নির্মাণের পর থেকেই দেয়ালে ফাটল ও পানি চোষার সমস্যা দেখা দেয়। দশ বছর আগে ভবনটি একবার মেরামত করা হলেও বর্তমানে এর অবস্থা ভয়াবহ।
এখন ভবনের ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে, বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। বর্ষায় ছাদ দিয়ে পানি ঝরে পড়ছে, ফলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকে।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শেখ মানিক বলেন, “আমরা ছেলে-মেয়েকে স্কুলে পাঠিয়ে সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকি। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার খবর শুনতে হতে পারে। দ্রুত ভবনটি পুনর্নির্মাণ করা হোক এবং এ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আর ক্লাস না নেওয়া হোক।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন জানান, “ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা সম্পর্কে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন বিষয়টি দেখবেন।”
শিবপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শামীম আহমেদ বলেন, “আমি উপজেলায় নতুন এসেছি। বিদ্যালয়ের বিষয়টি প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে জেনেছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. ফারজানা ইয়াসমিন জানান, “বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা শুনেছি। ইতোমধ্যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।”
এআরএসএম/এসআর