দুই দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় এসেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। এক দশকেরও বেশি সময় পর এই প্রথমবারের মতো কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এলেন। এর আগে ২০১২ সালে হিনা রাব্বানি খার ঢাকায় এসেছিলেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে ইসহাক দারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ইসহাক দারের ঢাকা সফরের কথা থাকলেও, ভারতের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটির সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিলে ইসলামাবাদ সফরটি স্থগিত করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, দারের এই দ্বিপক্ষীয় সফরে পারস্পরিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের পাশাপাশি রাজনৈতিক পর্যায়ে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেবে পাকিস্তান। অন্যদিকে, বাংলাদেশের লক্ষ্য হবে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, সফরের দ্বিতীয় দিন রোববার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মূল বৈঠকটি হবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে। ওইদিন তাঁরা একান্ত ও প্রতিনিধি পর্যায়ে বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো সই হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র বলছে, তৌহিদ-দার বৈঠকে ব্যবসা, বিনিয়োগ, কৃষি, যোগাযোগ, জনসমাগম সহজীকরণসহ নানা দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা হবে।
রোববার বিকেলে ইসহাক দার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, সফরকালে ইসহাক দার বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন। এর অংশ হিসেবে তিনি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে গুলশানে তার বাসায় সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গেও তার সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার ডি-৮ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য ঢাকায় এসেছিলেন এবং বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালের জুলাই মাসে আবারও হিনার ঢাকায় আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, তবে শেষ পর্যন্ত তিনি আসেননি।
আরএন