বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচিতে কৃতিত্বের জন্য খুলনা মহানগরের ৩ হাজার ৯০৯ জন শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার নগরীর শেরে বাংলা রোডস্থ জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে “আলোকিত মানুষ গড়ি একসাথে” স্লোগানে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণ উৎসবে খুলনা মহানগরের ৫৭টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব খায়রুল আলম সবুজ। আরও উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও জাতীয় নির্বাচন তদন্ত কমিশনের সদস্য শামীম আল মামুন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট খালিদ হাসান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, গ্রামীণফোন খুলনার আঞ্চলিক প্রধান বুশরা মেহেরিন এবং এভারেস্ট বিজয়ী এম এ মুহিত।
দিনব্যাপী এ আয়োজন শুরু হয় সকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে। বিকেলের পর্বে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রইং অ্যান্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তরিকত ইসলাম এবং জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে খায়রুল আলম সবুজ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, "সত্যের রূপ একটাই। শিল্প-সংস্কৃতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ জীবনে চলার পথে মানবতার সংগ্রামে যাওয়ার পথে একমাত্র অনুপ্রেরণা। তাই তোমরা সর্বদা সত্যের পথে থেকে জীবনকে এগিয়ে নিতে শেখো।"
অবসরপ্রাপ্ত সচিব শামীম আল মামুন বলেন, "তোমাদের বইপড়ার মাধ্যমে শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে আত্মিক যোগসূত্র তৈরি হবে এবং প্রতিদিন কিছু না কিছু নতুন শেখা যাবে। তাই তোমাদের বেশি করে বই পড়া উচিত।"
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩২টি বিদ্যালয়ের ২ হাজার ২৬০ জন শিক্ষার্থী সরাসরি মঞ্চ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে। এদের মধ্যে ১ হাজার ২২২ জন ছাত্রী এবং ১ হাজার ৩৮ জন ছাত্র। এছাড়া ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পক্ষে শিক্ষক ও সংগঠকরা পুরস্কার গ্রহণ করেন।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে: স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে ২ হাজার ১০০ জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে ১ হাজার ১০৮ জন
অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে ৬১৫ জন, সেরা পাঠক পুরস্কার পেয়েছে ৮৬ জন শিক্ষার্থী। এই দিনব্যাপী উৎসব এবং পুরস্কারের বই স্পন্সর করেছে গ্রামীণফোন লিমিটেড।
এসএস/আরএন