প্রায় পাঁচশ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনর্নির্মাণ করা খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক এখনই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে খুলনার জিরো পয়েন্ট থেকে কৈয়া পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় সড়কের বেহাল অবস্থা যানবাহন চলাচলকে করছে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
বিভিন্ন স্থানে উঠে গেছে বিটুমিন, তৈরি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। কোথাও কোথাও পিচ সরে ঢিবি হয়ে আছে, আবার অনেক জায়গায় সড়ক ডেবে গিয়ে ঢেউয়ের মতো হয়েছে। চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কিছু স্থানে ইট বিছিয়ে সাময়িক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও তা কোনোভাবেই স্থায়ী সমাধান নয়।
৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ মহাসড়কের মধ্যে খুলনা অংশ পড়েছে ৩৩ কিলোমিটার, যা শুরু হয় জিরো পয়েন্ট থেকে ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারোমাইল পর্যন্ত। সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের তথ্যানুযায়ী, মহাসড়কটির প্রশস্তকরণ ও পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে এবং শেষ হয় ২০২০ সালের জুনে। কিন্তু নির্মাণের এক বছরের মধ্যেই উঠে যেতে শুরু করে বিটুমিন, যা স্থানীয়দের মধ্যে নির্মাণমান নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি খান মহিদুল ইসলাম বলেন, “সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর থেকে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পণ্য পরিবহন হয় এই রাস্তায়। অতিরিক্ত ভারী যানবাহন চলাচল ও নিম্নমানের নির্মাণকাজ মিলিয়ে মহাসড়কটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে, যাত্রীরা পড়ছেন চরম দুর্ভোগে।”
সড়ক ও জনপথ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তানিমুল হক জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এ সড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। অথচ মহাসড়কটির ফাউন্ডেশন এত ভার বহন করার উপযোগী নয়।
অন্যদিকে স্থানীয় ডাক্তার জামিনুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বড় গাড়ির চাকায় জমে থাকা নোংরা পানি মোটরবাইক, সিএনজি, ইজি বাইকের যাত্রীদের গায়ে গিয়ে লাগছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়ছেন।”
এসএমএস/এসআর