রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। পদ্মার প্লাবনে পানিতে ডুবে গেছে ঘরবাড়ি ও মাঠঘাট।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী চরে এমনই এক করুণ দৃশ্য চোখে পড়ে।
স্থানীয়দের ভাষ্য মতে, পদ্মার মধ্যে অবস্থিত বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নে প্রায় ১৫টি চর রয়েছে। এসব চরে অধিকাংশ মানুষই ভূমিহীন, দিনমজুর এবং প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা অসহায় পরিবার। শুকনো মৌসুমে কৃষিকাজ এবং বর্ষায় মাছ ধরাই তাদের প্রধান জীবিকা। কিন্তু বন্যা এলে তাদের জীবন হয়ে পড়ে দুর্বিষহ।
চরাঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন খুবই ধীরগতি। জোয়ারের পানির ঢল ঠেকানোর কোনো টেকসই ব্যবস্থা নেই। ফলে প্রতি বছরই চরবাসীকে বন্যা ও নদীভাঙনের মুখে পড়তে হয়। ফসল উৎপাদন প্রকৃতিনির্ভর হওয়ায় অনেক সময় তারা চরম ক্ষতির মুখে পড়ে।
চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, “প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে চরে বসবাস করি। যাকে এক বুক পানিতে গরু বেঁধে রাখতে দেখেছেন, তার অবস্থা ভয়াবহ হলেও আরও অনেকেই জীবন নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে আছেন। পদ্মায় পানি বাড়ায় আতঙ্কে দিন কাটছে।”
চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, “গত কয়েক বছরে পদ্মার ভাঙনে সহস্রাধিক বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, হাট-বাজার, বিজিবি ক্যাম্প এবং হাজার হাজার বিঘা জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হাজারো পরিবার গৃহহীন হয়েছে। এখন আবার অনেকে গরু-ছাগল নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন।”
চরবাসীর দাবি, দ্রুত সরকারি সহায়তা ও দীর্ঘমেয়াদি নদীশাসন প্রকল্প ছাড়া তাদের দুর্দশার কোনো স্থায়ী সমাধান নেই।
এএইচ/আরএন