ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারকে চিঠি দিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সের ২২১ জন এমপি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। শুক্রবার তারা এই চিঠি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেন।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ২২১ জন এমপির মধ্যে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টিসহ মোট ৯টি রাজনৈতিক দলের সংসদ সদস্য রয়েছেন। এমনকি প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টিরও বেশ কয়েকজন এমপি এই তালিকায় আছেন।
হাউস অব কমন্সে মোট আসনসংখ্যা ৬৫০টি। সেই হিসেবে, এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এমপি এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে বর্তমান সরকারের উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রায়নার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপারও রয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে: “আমরা জানি, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার মতো সরাসরি ক্ষমতা যুক্তরাজ্যের নেই। তবে ফিলিস্তিনের সঙ্গে আমাদের একটি ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে এবং যেহেতু যুক্তরাজ্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একজন স্থায়ী সদস্য, তাই আমাদের বিশ্বাস যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
গত বুধবার ফ্রান্স ঘোষণা দিয়েছে, তারা আগামী সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর এই ঘোষণার দু’দিন পরই দুই শতাধিক ব্রিটিশ এমপি স্টারমারকে চিঠি দেন।
তবে চিঠির জবাবে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার জানিয়েছেন, এখনই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় হয়নি।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন: “আমাদের মূল লক্ষ্য হলো মধ্যপ্রাচ্যে একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া সেই লক্ষ্যের চূড়ান্ত ধাপ; কিন্তু তার আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ রয়েছে। এগুলো হলো গাজায় আটক সকল ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি এবং সেখানে একটি স্থায়ী ও কার্যকর যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা। এই ধাপগুলো অতিক্রম না করে স্বীকৃতি প্রদান কোনো বাস্তব সুফল বয়ে আনবে না। যুক্তরাজ্য তার ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সঙ্গে একযোগে গাজায় যুদ্ধাবসান এবং জিম্মিদের মুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।”
আরএন