পূর্ব সুন্দরবন বনবিভাগের অভিযানে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় আনুমানিক ১০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়েছে। এ সময় হরিণের মাংস পাচারকারী দলের ২ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ঢাকাগামী একটি বাসে অভিযান চালিয়ে ওই মাংস জব্দ করা হয়।
বনবিভাগ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাথরঘাটার জ্ঞ্যানপাড়া বিশেষ টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বাবুরহাট বাজার এলাকায় ঢাকা-মঠবাড়িয়া সড়কে অবস্থান নেন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজিব পরিবহনের ঢাকাগামী একটি বাস উক্ত এলাকায় এলে তল্লাশি করা হয়। এ সময় বাসটির সাইড বাক্সে একটি ককশীট বাক্সে ২টি পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো আনুমানিক ১০ কেজি হরিণের মাংস খুঁজে পায় বনবিভাগের অভিযানিক দলটি।
পরে অবৈধ হরিণের মাংস জব্দ করে এবং মাংস পাচারকারী দলের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার কচুয়া গ্রামের জোনাব আলীর ছেলে আ. ছালাম (৪০) ও মোরেলগঞ্জের সন্ন্যাসী ছোটপুরী গ্রামের মো. বাকেরের ছেলে মো. জাকারিয়া (২৫)। এর মধ্যে আ. ছালাম ওই বাসের হেল্পার হিসেবে পরিচিত।
শরণখোলা ফরেস্ট রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে হরিণের মাংস পাচারকারী অপর দুই ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর পাওয়া গেছে। তদন্তের স্বার্থে তা এখন প্রকাশ করা যাচ্ছে না। আসামিদের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাগেরহাট বন আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, হরিণের মাংসের প্রেরক ও প্রাপক, অর্থাৎ সরবরাহকারী ও ভোক্তা কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। ফুট পেট্রোলিং ও গোয়েন্দা নজরদারির কারণে হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার ও চোরচক্র গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে। বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসএস/এএ/আরএন