ময়মনসিংহের ভালুকায় একই পরিবারের তিনজনকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ভালুকা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের টিঅ্যান্ডটি মোড় এলাকার একটি বাসা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন, নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার সেনের বাজার গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ময়না বেগম (২৫), তার মেয়ে রাইসা বেগম (৭) এবং ছেলে নিরব (২)।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দেড় মাস আগে রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই নজরুল ইসলাম খারুয়ালি এলাকার ফাইয়ুম মিয়ার দুই রুম বিশিষ্ট একটি বাসা ভাড়া নেন। রফিকুল কাঠালি এলাকার রাসেল মিলে চাকরি করতেন, আর নজরুল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতেন।
প্রতিদিনের মতো রোববার রাতে রফিকুল নিজ কর্মস্থলে চলে যান। পরদিন সকালে ডিউটি শেষে বাসায় এসে বারান্দার গেটের তালা লাগানো দেখেন। কিছু সময় ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া শব্দ পাচ্ছিলেন না। পরে বাসার মালিক ও তার স্ত্রীকে ডেকে আনেন রফিকুল। একপর্যায়ে বারান্দার দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তিনি তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের রক্তাক্ত লাশ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন।
খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশগুলো উদ্ধার করে। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা এবং রক্তমাখা একটি বিছানার চাদর জব্দ করে। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, পুলিশ ও স্থানীয়রা কিছুই বলতে পারছে না।
রফিকুল বলেন, রোববার সন্ধ্যায় আমি বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যাই। সকালে এসে দেখি আমার ঘরের বারান্দার দরজা তালা লাগানো। তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখি আমার স্ত্রী, ছেলে এবং মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। কী কারণে আমার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করা হলো তা আমি বলতে পারছি না। আমার ভাইকেও খুঁজে পাচ্ছি না।
ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনার পর থেকেই নিহতের দেবর নজরুল পলাতক রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। নজরুলের বিরুদ্ধে গাজীপুরে একটি হত্যা মামলা রয়েছে।
আরএন