BREAKING: |
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ২৪ ঘণ্টায় ১৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন রামগতি আবহাওয়া সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মো. সৌরভ হোসেন।
তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ, সক্রিয় মৌসুমি বায়ু ও পূর্ণিমার প্রভাবে এ বৃষ্টি হচ্ছে, যা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬১ মিলিমিটার বৃষ্টি এই মৌসুমে সর্বোচ্চ হিসেবে রেকর্ড হয়েছে।
এদিকে, গত দুই দিন ধরে টানা বৃষ্টির ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। রায়পুর পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে নতুনবাজার, তুলাতলী, নিউ কলোনি ও সরকারি কলেজ সংলগ্ন এলাকাগুলোতে পানি জমে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পৌরবাসী।
ভারি বৃষ্টিতে জনজীবন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। ভোর থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। জীবন-জীবিকার তাগিদে অনেকেই ঘর ছেড়েছেন, তবে রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ভোর থেকে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও নিম্ন আয়ের মানুষ জীবিকার তাগিদে কাজে বের হয়েছেন। তবে দোকানপাট, হোটেল-রেস্টুরেন্টে মানুষের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
অনেকে দোকান খুললেও অলস সময় কাটাচ্ছেন। রায়পুর ইউনিয়নের ভ্যানচালক আলাউদ্দিন বলেন, “ভোরে বের হয়েছি, কিন্তু কোনো ভাড়া পাইনি। টুকটাক চালিয়ে মাত্র ৯০ টাকা আয় হয়েছে।”
নতুনবাজারের মাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বলেন, “সকালে পাইকারি বাজারে গিয়েছিলাম, কিন্তু বৃষ্টির কারণে মাছ তেমন আসেনি। তাই আমিও কিছু কেনা হয়নি।”
স্টাইল পার্কের সোহেল বলেন, “বৃষ্টির কারণে দোকানে তেমন বেচাকেনা হয়নি। ক্রেতা আসেওনি।”
রায়পুর পৌরবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এতে করে প্রায়ই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পৌরবাসীর আশঙ্কা, দ্রুত ড্রেনেজ পরিষ্কার না করা হলে দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে। একইসঙ্গে এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যারও শঙ্কা করছেন অনেকে।
রায়পুর পৌরসভার প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম বলেন, “যেসব এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে পৌরসভার পক্ষ থেকে পানি সরানোর কাজ চলছে। পাশাপাশি ড্রেনগুলো দ্রুত পরিষ্কার করে পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে জলাবদ্ধতা এড়াতে শহরের আশপাশের খালগুলো পরিষ্কার করার কাজ করছে জেলা, উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা।”
ওআর/আরএন