ময়মনসিংহ নগরীতে প্রাক্তন স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানায়, ময়মনসিংহ নগরের গুলকীবাড়ি এলাকায় একটি বাসায় মেয়েকে নিয়ে সাবলেট ভাড়া থাকতেন রওশন আক্তার (৪২)। তাঁর বাবার বাড়ি নেত্রকোনা সদরের রাজুর বাজার এলাকায়। ময়মনসিংহ নগরের সেনবাড়ি এলাকার ওমান প্রবাসী রাকিবুল করিম (৫০) দম্পতির সংসারে দুজন কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে ঢাকায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ছোট মেয়ে ময়মনসিংহ নগরের ক্যান্টনমেন্ট কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়তেন। পারিবারিক কলহের জেরে রাকিবুলকে মাস তিনেক আগে তার স্ত্রী ডিভোর্স দেন। মঙ্গলবার ভোরে রওশন আক্তার যে বাসায় ভাড়া থাকেন সে বাসায় প্রবেশ করে ছুরিকাঘাত শুরু করেন রাকিবুল। মাকে ছুরিকাঘাত করতে দেখে ছোট মেয়ে রোজা আক্তার ভয়ে পেয়ে অন্য একটি কক্ষে আশ্রয় নেয়। রওশন আক্তারকে হত্যার পর রাকিবুল নিজে বাসার অপর একটি কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ দুটি মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত রওশন আক্তারের ভাতিজা ইকবাল হোসেন শাওন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে দুইজনের ডিভোর্স হয়েছিল। কিন্তু সকালে রওশন আক্তারের ভাড়া বাসায় ঢুকে রাকিবুল তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা নিশ্চিত করে মেয়েকে বেধে রেখে অন্য একটি রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে নেত্রকোনা থেকে ছুটে এসে লাশ দেখতে পাই।
বাড়িটির দায়িত্বে থাকা রকিবুল ইসলাম লিটন বলেন, ১০-১২ বছর আগে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল রওশন আক্তার ও তার মেয়েরা। তবে বড় মেয়ে ঢাকায় থাকত। তাদের চালচলন ভালোই ছিল। কিন্তু হঠাৎ এমন ঘটনা ঘটবে ভাবতে পারিনি।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গত ২৪ জুন ওমান থেকে দেশে আসেন রাকিবুল করিম। প্রায় তিনমাস আগে স্ত্রী কর্তৃক তিনি তালাকপ্রাপ্ত হন। আজ বাসায় ঢুকে প্রথমে স্ত্রীকে হত্যা করে। তারপর নিজের জমিজমার দলিলপত্র মেয়েকে বুঝিয়ে দিয়ে নিজেও আত্মহত্যা করেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনায় অন্য কোন কারণ আছে কি না আমরা খতিয়ে দেখছি।
এসএইচএস/এসআর