কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার মূল আসামিসহ ভুক্তভোগীর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে জড়িত মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ।
রোবার ভোর ৫টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে মূল আসামি ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ফজর আলী (৩৮) মুরাদনগরের বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- পাঁচকিত্তা গ্রামের অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের মূল আসামিসহ ভুক্তভোগীর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে জড়িত মোট পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
এর আগে পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) রাতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামের ফজর আলী একজন প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকার লোকজনের হাতে আটক ও প্রহৃত হন। পরবর্তী সময়ে আহত ফজর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কিছু লোক তাৎক্ষণিক ভাবে ভুক্তভোগীর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করে। ভুক্তভোগীর লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে মুরাদনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়।
এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মুরাদনগর থানা পুলিশ চার জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়া চার জনের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। তার স্বামী দুবাই প্রবাসী।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে আসেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী তার বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন।
এমএ