নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মাদকাসক্ত একমাত্র ছেলের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তাকে হত্যা করে বস্তায় ভরে ড্রেনে ফেলে দেন বাবা। এ ঘটনায় সহযোগিতা করেন মা। পরে বাবা নিজেই হত্যা মামলার বাদী হন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) হাসিনুজ্জামান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল হক, পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন এবং এসআই শামীম।
নিহত জনি সরকার (২৫) সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানার বিশ্নপুর গ্রামের করুনা সরকার ও অসিতা রানী সরকারের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিনুজ্জামান বলেন, ফতুল্লার লালখা শিহাচর এলাকার দুলাল পুলিশের বাড়িতে স্ত্রী, দুই কন্যা ও এক পুত্রকে নিয়ে ভাড়া থাকেন করুনা সরকার। তিনি খান সাহেব ওসমান আলী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নৈশপ্রহরীর চাকরি করেন। তার ছেলে জনি সরকার মাদকাসক্ত ও বখাটে স্বভাবের ছিল। মাদকের টাকার জন্য প্রায়ই বাবা-মাকে মারধর ও মানসিক নির্যাতন করত।
তিনি আরও বলেন, ১৬ জুন রাতেও জনি তার বাবা-মাকে মারধর করে। এরপর রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে, রুটি বানানোর বেলন দিয়ে জনির মাথা ও মুখে আঘাত করেন করুনা সরকার। এতে সে নিথর হয়ে পড়লে, মায়ের সহযোগিতায় প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে রাতেই সড়কের পাশে ড্রেনে ফেলে দেন তিনি।
পরদিন ১৭ জুন সকালে পুলিশ ড্রেন থেকে বস্তাবন্দি জনির মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর জনির বাবা অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে উঠে আসে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য।
এসএস/আরএন