খুলনায় বিক্রির উদ্দেশ্যে আনা ৪ মণ ৩০ কেজি মরা গরুর মাংসসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন গল্লামারী এম এ বারী সড়কের ওয়ালটন শোরুমের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পুলিশ একটি পিকআপভ্যানও জব্দ করে। এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানায় খাদ্য নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার নিকারীপাড়া জলিলপুর এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে মো. মমিন এবং সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন আলীর ক্লাব সংলগ্ন আল আমিন মহল্লার সোহেল হাওলাদারের ছেলে তামিম হাওলাদার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, এএসআই মো. আলিম হোসেন সোনাডাঙ্গা থানাধীন গল্লামারী এম এ বারী সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছিলেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একটি পিকআপ সড়কে প্রবেশ করলে তার সন্দেহ হয়। পিকআপটি থামিয়ে চালক মো. মমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, গাড়িতে গরুর মাংস রয়েছে। দেখা যায়, ৪ মণ ৩০ কেজি মাংস অস্বাস্থ্যকরভাবে পলিথিনের উপর পড়ে আছে। এতে পুলিশ কর্মকর্তার সন্দেহ আরও বাড়ে। পরে মমিন জানান, এই মাংস চুয়াডাঙ্গা থেকে এনে সোনাডাঙ্গা থানাধীন আল আমিন এলাকার তামিম হাওলাদারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।
তিনি আরও বলেন, এরপর তামিমকে ঘটনাস্থলে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে সে মাংসের প্রকৃত মালিকের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। পুলিশ চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার সাহারেজ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি জানান, বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় গরুটি স্ট্রোক করলে সেটিকে জবাই করা হয় এবং ৬৩ হাজার টাকায় মাংস বিক্রি করা হয়। রাত ৩টার দিকে মাংসটি পিকআপে করে খুলনার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, আসামিরা বিভিন্ন স্থান থেকে রোগাক্রান্ত ও মৃত গরুর মাংস সংগ্রহ করে খুলনা মহানগরের বিভিন্ন হোটেলে সরবরাহ করে থাকে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের খাদ্য নিরাপত্তা আইনের ৫৮ নম্বর তফসিলের ক্রমিক ১৫-এর ৩৪ ধারায় মামলা হয়েছে। জব্দ করা মাংস থেকে পরীক্ষার জন্য ১ কেজি রাখা হয়েছে এবং বাকি অংশ আদালতের নির্দেশে ধ্বংস করা হবে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
এসএস/আরএন